জানা যায়, গত ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে সাঁথিয়ার নন্দনপুর ইউনিয়নের সোনাই বিল দখল নিয়ে হাড়িয়াকাহন গ্রামের তোয়াজ উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানাকে মারপিটের অভিযোগে ভাই মিল্টনের স্বাক্ষরিত যে অভিযোগ থানায় দেয়া হয় তা তদন্তে মিথ্যা প্রমানিত হয়। যেখানে আসামী হিসেবে আশরাফুজ্জামান টুটুলও ছিল না। ওই অভিযোগে মিল্টনের স্বাক্ষর নয় বলে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর সাঁথিয়া থানার তৎকালীন ওসি আসাদুজ্জামান মিথ্যা বলে অব্যহতি দেন। প্রকৃত সোনাই বিলের লীজ গ্রহিতা নন্দনপুর মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি বাদল হালদার। তিনি জবর দখল থেকে রক্ষা করতে শুভ মন্ডল, ইউনুস, সোহেলসহ কয়েক জনের নামে আইনি সহায়তা চেয়ে প্রশাসনের নিকট আবেদন করেন। আবেদনের পেক্ষিতে উপজেলা ভ’মি অফিস এর নন্দনপুর ইউনিয়ন ভ’মি অফিস সরেজমিন তদন্ত পুর্বক ওই সকল জবর দখলকারীদের সত্যতা পেয়ে উপজেলাসহ জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন পেশ করেন ০৮/১০/২০২০ তারিখে আইনি ব্যবস্থা নিতে। আর তাদের রক্ষা করতে একটি মহল টুটুলের নামে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে । তাতে তড়িঘড়ি করে জেলা কমিটি অধিদপ্তর তদন্ত ছাড়াই সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুলকে অব্যহতি প্রদান করেন।
কর্মীবান্ধব নেতার দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রত্যাহার না হওয়ায় প্রাণহীন উপজেলার নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা অতিদ্রুত আশরাফুজ্জামান টুটুলকে স্বপদে বহাল করে উপজেলা সংগঠনকে গতিশীল ও বেগবান করার জোর দাবী জানিয়েছেন।
নন্দনপুর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, কাশিনাথপুর ইউনিয়নের সভাপতি বিপুল সাহা ও ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহŸায়ক খন্দকার শামীমসহ অনেকেই জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর পর সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের কমিটি হলেও সভাপতি ছাড়া চলছে বর্তমান যুবলীগ। এ অবস্থায় দলকে সু-সংগঠিত ও নেতা কর্মীদের দায়িত্ব গ্রহণের মত কেউ নেই। যুবলীগ এখন আবারও অভিভাবকহীন হয়ে পড়ছে। রোজা কে সামনে রেখে আমরা তার নেতৃত্বেই মাস্ক, ইফতার বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু সে বহিস্কৃত হওয়ায় তাকে আমরা সভাপতি বলতে পারি না। অথচ তাকে নিয়েই আমাদের সকল কাজ করতে হচ্ছে।আমরা দ্রুত সময়ে সভাপতির স্¦পদে বহাল চাই।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান উকিল বলেন, যুবলীগ একটি বড় সংগঠন। এর দায়িত্বও অনেক বড়। সভাপতি না থাকায় একার পক্ষে এ সংগঠন ঠিক রাখা সম্ভব নয়। আশা করি কেন্দ্রীয় ও জেলা যুবলীগ এ সমস্যার দ্রৃত সমাধান করবে।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান টুটুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে, মানবতার জননী শেখ হাসিনার মতাদর্শে ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী ছাত্রলীগ, এখন যুবলীগ সংগঠনের সাথে আছি। সোনাই বিল সরকারী ভাবে লীজ হয়। লীজ গ্রহিতারাই প্রকৃত মালিক। বিলের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই। তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একটি মানবিক সংগঠন। সংগঠনের পরিপন্থী কোন কাজে তিনি আগেও জড়িত ছিলেন না, আগামীতেও থাকবেন না।