ইছামতিনিউজ২৪করেসপন্ডেন্টঃ
আজ রক্তাক্ত ভয়াল বিভীষিকাময় একুশে আগস্ট। দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একুশে আগস্ট একটি অন্ধকারময় অধ্যায়। আজ নরকীয় গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী।২০০৪ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে এই দিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামীলীগের “সন্ত্রান’ জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী”সমাবেশে কল্পনাহীন এক নরকীয় গ্রেনেট হামলার ঘটনা ঘটে। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো এ গ্রেনেড হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী ও মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়েছিল। শুধু গ্রেনেড হামলায় নয়, সে দিন তাদের লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়ি লক্ষ করে চালানো হয় ছয় রাউন্ড গুলি। জননেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও তিনি হন আহত। নষ্ট হয় তার শ্রবণশক্তি।
সেদিন যা হয়েছিল
সেদিন ছিল শনিবার। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিল ওই সমাবেশের প্রধান অতিথি। সমাবেশ শুরু হয় বিকাল ৪টার দিকে। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকায় ৪টার মধ্যে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিকাল ৫টার দিকে শেখ হাসিনা সমাবেশে পৌছান। অস্থায়ী মঞ্চে উঠে বক্তব্য শুরু করেন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। ২০ মিনিট বক্তব্য রেখে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে ট্রাকের মঞ্চের সিঁড়ির দিকে আসতে থাকেন। এ সময় মঞ্চকে লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারা হয়। তখন সময় বিকাল ৫টা ২২ মিনিট। গ্রেনেডটি বিকট শব্দে মঞ্চের পাশে বিস্ফোরিত হয়। একে এক আরও ১২টি গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়।ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয় সমাবেশ স্থল। আতংকে দিগি¦দিক ছুটতে থাকে মানুষ। গ্রেনেডের আঘাতে রাস্তায় ওপরে বেগম আইভি রহমানসহ অসংখ্য মানুষ লুটিয়ে পড়েন। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনা। পরে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এবং শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাৎক্ষণিক ভাবে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেডের হাত থেকে রক্ষা করেন।
একুশে আগস্ট উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।