২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

আটঘরিয়ার মাদকের ছড়াছড়ি ॥ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি

শেয়ার করুন:

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার আটঘরিয়ার পাড়াসিধাই ও হাড়ল পাড়া গ্রামে মাদকের ছড়াছছি। এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গী, হোসেন আলী ও আবু বক্কার এর বিরুদ্ধো ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিলসহ নানান ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসি। তবে এলাকাবাসি এদের বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ করলে তাদেরকে উল্টো মিথ্যা মামলার হুমকি দিচ্ছে তারা। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে মামলা আতংক বিরাজ করছে। 

সরেজমিনে ওই এলাকা ঘুরে জানা গেছে, পাড়াসিধাই গ্রামের হারুন অর- রশিদের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, মৃত- সাবেদ আলী মন্ডলের ছেলে আবু বক্কার মন্ডল, হাড়লপাড়া আব্দুল বাতেন মুন্সির ছেলে হোসেন আলী এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবা, গাঁজা, ফেন্সিডিলসহ নানান ধরনের মাদক বিক্রি করে আসছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে হুজুরের ঢাল হয়ে পাড়াসিধাই ব্রীজ এর নিকট মাদকের হাত বদল করছেন তারা। 

পাড়াসিধাই ও হাড়লপাড়া এবং হুজুরের ঢালের আশপাশের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ক্ষমতামীল দলের ছত্রছায়ায় তারা রাতকে দিন বানিয়ে দিনকে রাত বানিয়ে এলাকায় দেদারছে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে এলাকায় চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানিরসহ নানা ধরনের অপরাধ ক্রমেই বেড়েই চলেছে। নেশায় ধবংস হচ্ছে যুব সমাজ।  জিমশিম খেতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এলাকাবাসি আটঘরিয়া ওসি ও পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী করেন তারা। 

 এছাড়াও উপজেলা সদরসহ দেবোত্তর, দেবোত্তর ঝোড়পাড়া, আটঘরিয়া, গোড়রী, মতিঝিল, মতিঝিল গনির বটতলা, শ্রীকান্তপুর, পুস্তিগাছা, কয়রাবাড়ী, ডেঙ্গারগ্রাম, একদন্ত, সড়াবাড়িয়া, খিদিরপুর, পারখিদিরপুর, রামচন্দপুর, রামেশ^রপুর বাজার (আরপি বাজার) সহ বিভিন্ন বাজারের বেপরোয়া ভাবে পুলিশের চোখকে ফাকি দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে ও গোপনে কিছু ক্ষমতাশীদলের নেতাদের ছত্রছায়ায় দেদারচ্ছে রমরমা ভাবে বিক্রি করছেন গাঁজা, ইয়াবা, ফেন্সিডিল। 

উঠতি বয়সের তরুন যুবক ও স্কুল কলেজগামী ছাত্ররা মাদকের সর্বনাশা ছোবলে পড়ে বিপদগামী হচ্ছে ফলে অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে। সর্বনাশা এই মাদকের কড়াল গাসে ধ্বংস হচ্ছে তরুন যুবক থেকে বৃদ্ধরা। বিষয়টি প্রশাসনের জরুরী পদপেক্ষ নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।  

 ভূক্তভোগী ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, মাঝে মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে মাদক বিরোধী সাঁড়াসী অভিযান চলাকালে মাদক ব্যবসা কিছুটা কমেছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশ নিরব থাকায় মাদক দ্রব্য ব্যবহার ও বিক্রি পূর্বে সব রেকড ছাড়িয়ে গেছে। উপজেলা সদর সহ  ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভার ওই সকল চিহিৃত স্থানে গিয়ে গাঁজা ইয়াবা ফেন্সিডিল মাদকসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্যেও ছদ্মনাম ধরে ডাকা হলেই নিদিষ্ট লোকজন সেই মাদক দ্রব্য নিয়ে হাজির হয়।