স্থানীয় ও মামলা সুত্রে জানা যায়, তৈলকপি গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের দুলাল মিয়ার ফসলী জমিতে একই গ্রামের মৃত আঃ আজিজ খার ছেলে আঃ মান্নান খার নেতেৃত্বে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একদল লোক জবর দখল করতে যায়। এ সংবাদ পেয়ে দুলাল মিয়ার ভাই হেলাল ও ভাতিজা নাইম এগিয়ে গেলে তারা দুজনকে মারপিট করতে থাকে। তাদের ডাক চিৎকারে দুলাল, ভাই মনোয়ার, রিপন, শিপন এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা বিভিন্ন অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার গুরুতর হলে নাইম ও হেলালকে পাবনা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাইমের মাথা ফেটে যায় ও হাত ভেঙ্গে যায়। আহত হেলাল জানান, আমার ভাই দুলাল বাদী হয়ে ঘটনার দিনই মামন্নানকে প্রধান করে ৭ জনের নামে আতাইকুলা থানায় মামলা দেন। মামলা নং ১০ তাং ২৩/১২/২০২০ ইং। আমরা পৈত্রিক সুত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে তৈলকপি মৌজার প্রায় চার একর ফসলী, ভিটা, পুকুর, বাগান, বাড়ী ভোগ দখল করে আসছি। মৃত খলিলুর রহমানের পালিত ভাই আঃ আজিজ খা খলিলুলের নিকট থেকে দলিল মুলে চার ভাগের এক ভাগ জমি ক্রয় করে। কিন্তু ভুল বশতঃ উক্ত আজিজ খার নামে অর্ধেক জমি আর, এসএ রেকর্ড ভুক্ত হয়। বিষয়টি জানতে পেরে দুলাল গং বাদী হয়ে আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেন। আদালত তাহা চার ভাগের এক ভাগ আজিজকে ও চার ভাগের তিন ভাগ দুলাল গংদের নামে রেকর্ড সংশোধন করে চুড়ান্ত ডিগ্রি প্রদান করেন। আদালত সরেজমিনে অংশিদারদের জমির সীমানা নির্ধারন করে খুটি পুতে দেয়। আদালতের এ আদেশ অমান্য করে আজিজের ছেলে মান্নান তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে মাঝে মধ্যেই জমি জবর দখল করতে যায়।
আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।