১৬ই জুন, ২০২৫ 🔻 ২রা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬

আতাইকুলায় মা ও মেয়ের একসাথে মৃত্যু ১৩ দিনেও মৃত্যুর কারণ উৎঘাটন করতে পারেনি পুলিশ

শেয়ার করুন:

                                                             দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুমি

সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার আতাইকুলা থানার লক্ষীপুর গ্রামের মাহাতাবের স্ত্রী নাসিমা খাতুন (৪৫) ও তার মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুমি (১৫) গত ২০ আগস্ট দুপুরে চিড়া-চিনি খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ মা-মেয়েকে প্রথমে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পরে প্রথমে মেয়ে সুমি পরে মা নাসিমা খাতুন মারা যায়। পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাবনা মর্গে প্রেরণ করে। থানায় অপমৃর্ত্য মামলা হয়েছে। ওই দিনই সন্দেহ জনক ভাবে নাসিমার সৎ ছেলে সুমন (২২) কে আটক করে পাবনা আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। এলাকাবাসীর ধারণা খাবারের বিষক্রীয়ায় মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
নাসিমার স্বামী মাহাতাব শেখ বলেন, আমার স্ত্রী আমার হাতের উপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ২১ বছর সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় নাই। তিনি বলেন, গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে। এদিকে ঘটনার ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এ ঘটনার কোন ক্লু উৎঘাটন করতে না পারায় জনমনে না গুণজঞ্জন রয়েছে। অনেকেরই ধারণা গ্যাস জনিত কারণে কখনও একই সাথে দুইজনের মৃত্যু হতে পারে না।
নিহত নাছিমার ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার বোন ও ভাগ্নিকে পাব না, তবে তাদের হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ বিচার চাই।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিরুল আলম জানান, দুই মৃত্যুর সংবাদের উর্ধতন অফিসারসহ ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। সন্দেহ ভাজন সৎ ছেলে সুমনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজণীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।