২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

আতাইকুলায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, ঘাতক স্বামী আটক

শেয়ার করুন:

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
 নিলুফা খাতুন (৪০) নামে ৪ সন্তানের জননী স্বামীর
হাতে খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আতাইকুলা থানার দিঘুলিয়া পাড়া গ্রামে গত বুধবার (২২ জুলাই)
রাতে। এলাকাবাসীর হাতে ঘাতক স্বামী আটক।
থানা ও পারিবারিক
সূত্রে জানাযায়, গত ২৫ বছর আগে সাঁথিয়া উপজেলা নাগডেমড়া ইউনিয়নের সেলুন্দা গ্রামের
মৃত মোক্তার সরদারের কন্যা নিলুফার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪টি
কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। টানা পোড়ন সংসারে ৩টি কন্যার বিয়ে দেন। 
নিহত নিলুফার ছোট ভাই
শাকিল জানান, শাহাদত আমার ফুফাতো ভাই। বিয়ের পর থেকেই ঠুনকো অভিযোগে মারপিট করতো। নির্যাতনের
মাত্রা অতিরিক্ত হলে আমার বড় বোন নিলুফা তার স্বামী শাহাদতকে ডিভোর্স দেন। চলতি মাসের
১৭ জুলাই আতাইকুলা দিঘুলিয়া পাড়ার ইউপি সদস্য মোঃ জালাল উদ্দিন সহ কয়েকজন গ্রাম্য প্রধান
শালিশী বৈঠাকে তাদের সংসার টিকানোর জন্য  মিল
করে দেন। ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন নিহত নিলুফার উপর আর কোন নির্যাতন হবে না বলে
তার স্বামী শাহাদত ও প্রধান বর্গ লিখিত দিয়ে নিয়ে আসেন। ৫ দিনের মাথায় শাহাদত বুধবার
রাতে তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে ও শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে। ভোরে ঘরের দরজা বাহির
থেকে আটকিয়ে সে পালানোর চেষ্টা করে। এলাকাবাসী তাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ
করে। শাহাদত হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ হেফাজতে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে। 
এদিকে পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) ইবনে মিজান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
নাছিরুল আলম ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত
নিলুফার ছোট ভাই শাকিল বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেছে। 
আতাইকুলা
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিরুল আলম বলেন মামলা হয়েছে। স্বামী শাহাদতকে পুলিশ হেফাজতে
চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ্য হলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এর সাথে অন্য কেউ জড়িত
আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।