২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

জুলাই আন্দোলনের চেতনা কি ব্যবসায়িক পণ্যে পরিণত হচ্ছে?

শেয়ার করুন:

২০২৫ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই দিনে দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে একটি গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, যা ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে পরিচিত। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল দুর্নীতি, বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি বাংলাদেশ গঠন করা।

তবে, অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে দেখা যাচ্ছে, এই আন্দোলনের চেতনা ও আদর্শকে কেন্দ্র করে একটি নতুন ধরনের ব্যবসার সূচনা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আন্দোলনের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা দাবি করে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করছেন। এমনকি, কেউ কেউ আহত না হয়েও চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছেন।

ছাত্র ইউনিয়নের ৪২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী সমাবেশে এ কথা বলেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা সামসি আরা জামান। তিনি বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে রাগীব নাঈম ও রাকিবুল রনির নেতৃত্বাধীন ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

এই পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক তামজীদ হায়দার বলেন, “স্বাধীনতাবিরোধী ও ধর্মকে স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারকারীদের কাছে সরকার একরকম আত্মসমর্পণ করে বসে আছে”। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আন্দোলনের চেতনার বাণিজ্যিকীকরণ নিয়ে সমালোচনা দেখা যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ন করছে এবং জনগণের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করছে। তারা সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন, যেন আন্দোলনের চেতনা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং আদর্শের অপব্যবহার রোধ করা হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত চেতনা ও আদর্শকে রক্ষা করা এখন সময়ের দাবি। এই চেতনার বাণিজ্যিকীকরণ রোধে সরকার, নাগরিক সমাজ ও সাধারণ জনগণকে একযোগে কাজ করতে হবে।