শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বনানী নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ইঙ্গিত দেন। হাফিজ উদ্দিন বলেন, শুরুতেই আদিষ্ট না হয়ে কীভাবে একজন যুগ্ম-মহাসচিব দলের ভাইস চেয়ারম্যানকে আক্রমণাত্মক ভাষায় শোকজ করেন? বলেন, বিষয়টি অপমানজনক। হাফিজ বলেন, জিয়াউর রহমান যদি স্বর্গে গিয়ে থাকেন, আর সেখানে বসে যদি শোনেন মেজর হাফিজকে শোকজ করা হয়েছে, তিনিও লজ্জা পাবেন।
দলের জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির একজন নগন্য কর্মী হিসেবে কয়েকটি সুপারিশ পেশ করতে চাই। ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দলের জাতীয় কাউন্সিল আহ্বান করা হোক। দলে বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি বাণিজ্য এবং মানোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এসেছে। হাফিজ বলেন, ‘ সম্প্রতি আমার নির্বাচনী এলাকায় ছাত্রদলের কমিটি কেন্দ্রীয় নেতারা ঢাকায় বসে গঠন করেছেন। আহবায়ককেই আমি চিনি না। ছাত্রলীগের কর্মীরাও এ কমিটিতে স্থান পেয়েছে। হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আমার মতো অসংখ্য সৈনিক যাদের অধিকাংশ ছিল স্কুল-কলেজের ছাত্র। আমরা সেনাবাহিনীর আর কয়জন ছিলাম। সারাদেশ যুদ্ধ করেছে। আজকে ৫০ বছর প্রায় পার হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান প্রজন্ম দেখেনি কীভাবে আমরা দেশটা স্বাধীন করেছি। সেজন্যই এই শোকজ নোটিশ আমি পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অধীনস্থ সেনা কর্মকর্তা হয়ে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি, সম্মুখ সমরে আহত হয়েছি। ১৪ ডিসেম্বর পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সারাদিন মরণপণ যুদ্ধের পর সিলেট শহর দখল করেছিলাম। ২০২০ সলের এদিনেই আমার দল আমাকে কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়েছে। আমাকে নোটিশ পাঠানোর আগে চিঠির বিষয়বস্তু ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমার কর্মীরা মর্মাহত হয়েছেন।’