১৫ই জুন, ২০২৫ 🔻 ১লা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬

আমির হামজাকে খুঁজছে পুলিশ

শেয়ার করুন:

ইছামতিনিউজ২৪.কম রিপোর্ট: ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে আলোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি আমির হামজাকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই ইসলামি বক্তা ওয়াজের নামে কথিত জিহাদের ডাক দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করে আসছেন। ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে তারা কোমলমতি কিশোর-তরুণদের ব্রেনওয়াশের মাধ্যমে জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।

আমির হামজা ছাড়াও আরও কয়েকজন ইসলামি বক্তার তালিকা করা হয়েছে। তারা ইউটিউবে ওয়াজের নামে উগ্রবাদ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতেন। তাদের ভুল ব্যাখ্যায় মোটিভেটেড হয়ে অনেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি তারা তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টারত সাকিব নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব আলি হাসান উসামা জানায় এক ইসলামি বক্তার নির্দেশে সে এই পরিকল্পনা করেছিল। ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা ও উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে আমির হামজাসহ বেশ কয়েকজনকে ইসলামি বক্তাকে খুঁজছে পুলিশ।
এছাড়া সে জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজনের ওয়াজ ও বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত হয়। আমরা সেসব ওয়াজকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মে সংসদ ভবন এলাকা থেকে সাকিবকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সাকিবসহ আলী হাসান উসামা ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে আসামি করা হয়। এছাড়া সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাকিব মোবাইল ফোনে উগ্রবাদ বার্তা সংবলিত ভিডিও প্রচারকারী আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদী জিহাদি হামলার বার্তা সংবলিত ভিডিও দেখে উগ্রবাদে আসক্ত হয়।
কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় ওয়াজকারী মুফতি আমির হামজা দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া ইসলামি বক্তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া জেলায় তার জন্ম। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে আল-কোরআনের উপর অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি।