এবার কোরবানির পশু পরিবহনে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দুই জোড়া ক্যাটেল
স্পেশাল ট্রেন চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে এক জোড়া এবং খুলনা-ঢাকা-খুলনা
রুটে এক জোড়া ট্রেন চলবে। এই ট্রেনে ৫৪১ টাকা ভাড়ায় একটি পশু রাজশাহী থেকে
ঢাকায় নেওয়া যাবে।
জানা গেছে, ব্রডগেজের একটি ওয়াগনে ২০টি গরু পরিবহন করা যাবে। ২০টি গরুর
প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ২০ টাকা। ফলে রাজশাহী-ঢাকার ৩৪৩ কিলোমিটার পথের
জন্য গরুগুলোর মোট ভাড়া হবে ৬ হাজার ৮৬০ টাকা। এর সঙ্গে ১ হাজার ৩৭৬ টাকা
অতিরিক্ত সার চার্জ এবং টার্মিনাল চার্জ ধরা হবে ২ হাজার ৫৭৪ টাকা। সব কিছু
মিলিয়ে একটি ওয়াগনের ২০টি গরুর ভাড়া হবে ১০ হাজার ৮১০ টাকা। প্রতিটি গরুর
জন্য পড়বে ৫৪১ টাকা।
ব্যবসায়ী ও খামারিদের কাছ থেকে বুকিং পাওয়ার পরপরই ট্রেন চলাচলের দিনক্ষণ
নির্ধারণ করা হবে। রেলপথে পশু পরিবহনের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেশন মাস্টারের
সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ট্রেনে পশু পরিবহনের বিষয়ে রাজশাহী অঞ্চলের গরু খামারি, ব্যবসায়ী, উপজেলা ও
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে পশ্চিমাঞ্চল
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এরপরই সংশ্লিষ্টদের সুপারিশমালা অনুযায়ী দুই রুটে
ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেন চালুর উদ্যোগ চূড়ান্ত করা হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) ফুয়াদ হোসেন
আনন্দ বলেন, প্রান্তিক খামারিদের উৎসাহ প্রদান এবং কোরবানির পশু সহজে
ভোক্তাদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে খুব অল্প টাকায় পশু পরিবহনের এ
উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে চলাচল
করা ট্রেন বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আমনুরা বাইপাস,
কাকনহাট, রাজশাহী, হরিয়ান, উল্লাপাড়া জয়দেবপুর, ধীরাশ্রম, টঙ্গী ও তেজগাঁও
স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে রাত ৩টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ঢাকা পৌঁছাবে।
আর খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচল করা ট্রেনটি দুপুর ১টা নাগাদ খুলনা থেকে
যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ, ঈশ্বরদী,
জয়দেবপুর, ধীরাশ্রম, টঙ্গী, তেজগাঁও স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে রাত ৩টা
নাগাদ ঢাকা পৌঁছাবে। ট্রেনে পশু পরিবহন করলে ব্যবসায়ীরা রাস্তার নানা
বিড়ম্বনা থেকেও মুক্ত থাকবেন বলে জানান তিনি।
