সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ প্রর্দশন করেন তারা।
ঘন্টাব্যাপী চলা জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচির আয়োজন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন।
কর্মসূচী চলাকালে বক্তব্য দেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুল রহিম পাকন, বীর মুক্তিযোদ্ধার আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পাবনার সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলনের সভাপতি এস এম মাহাবুব আলোম, বাপার সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান, নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক শহীদুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই ইছামতি নদী পুনঃখননের। দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের ফলে সরকার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবতি করার জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়া এই নদীর খনন ও উচ্ছেদ কাজের তেমন কোন অগ্রগতী নেই। এই খনন কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে কাজ করে নদী খনন দেখাতে চাইছেন। সরকারের এই উন্নয়ন নদী খনন কাজ নিয়ম মাফিক না করে নিজেদের ইচ্ছামত কাজ করে অর্থ উত্তোলন করার পাঁয়তারা করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এই কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন রকমের নজরদারি করছে না। তাই হাইকোর্ট এর দেয়া নির্দেশ মোতাবেক আর নদী খননের দরপত্রের নিয়ম অনুযায়ী পরিকল্পা মাফিক নদী খনন করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করেন আন্দোলনকারীরা। বক্তব্য শেষে অংশগ্রহণ করা নেতাকর্মীরা লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেন।
জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ এই নদী খনন কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে কাজের মান সঠিক ভাবে করার জন্য প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন। আর কাজের মান সঠিক ভাবে না করা হলে এই কাজের কোন অর্থ উত্তোলন করতে দেয়া হবে বলে জানান।