ইসরায়েল যদি ইরানের ওপর পারমাণবিক হামলা চালায়, তবে পাকিস্তান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক প্রতিশোধ নেবে—ইরানের একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার এমন বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সাবেক উপপ্রধান মোহসেন রেজাই দাবি করেন, ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে, পাকিস্তান ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাবে। এমনকি পাকিস্তানের ‘Shaheen-III’ নামের ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহারে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আভিবকে লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে পাকিস্তান সরকার এই দাবি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছে। দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, পাকিস্তান কখনোই এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র purely প্রতিরক্ষামূলক উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত, এবং এটি কোনো দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী প্রয়োগের জন্য নয়।
এই বিবৃতি এমন এক সময় এসেছে যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সম্প্রতি ইসরায়েল ইরানের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর, ইরানও পাল্টা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে জবাব দিয়েছে। ফলে পুরো অঞ্চল জুড়েই একটি সম্ভাব্য পারমাণবিক সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানি জেনারেলের এমন মন্তব্য কূটনৈতিক চাপে পাকিস্তানকে ফেলতে পারে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় অবস্থান বরাবরই নিরপেক্ষ ও প্রতিরক্ষামূলক, যা এই ধরনের মন্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা ও উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।