ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার বিমান-যুদ্ধ এখন ছয় দিন অতিক্রম করেছে। উভয় দেশ একে‑অপরের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে । ইসরায়েল ইরাকের রাজধানী তেহরানেও স্বতন্ত্র এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে; আহত ও নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে—ইরানিদের সংখ্যা প্রায় ৫৮৫ জন, আর ইহুদীদের ২৪ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ।
এই সময়ে তেল আবিব, তেহরান ও কারাজে বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরায়েলি সরকার নাগরিকদের সরিয়ে নিতে আধা‑সভ্য সতর্কতা দিয়েছে । পাশাপাশি, ইরান ‘Fattah‑1’ ও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেও পাল্টা হামলা চালিয়েছে ।
এই উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন নতুন এক বার্তা: ইরানের ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ চাইছেন তিনি । তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমরা জানি কোথায় অবস্থান করছেন আয়াতুল্লাহ খামেনেই, এখনই তাকে হত্যার পরিকল্পনা নেই, তবে আমাদের ধৈর্য্য ফুরিয়ে আসছে । এমনকি তিনি সকলকে তেহরান থেকে অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ।
যুদ্ধের মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্র তার এয়ার সুরক্ষা শক্তি বেড়াচ্ছে, এবং পশ্চিম এশিয়ায় আকাশে মানচিত্র স্পষ্ট বুঝাচ্ছে যে এখন পর্যন্ত সরাসরি হস্তক্ষেপ না করলেও, অবস্থান আরও কঠোর হতে পারে । তবে G7 সম্মেলনে ব্রিটিশ নেতা কিয়ার স্টারমার মন্তব্য করেছেন, “কোনও ইঙ্গিত নেই যে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধের পথে যায়” ।
এই দ্বন্দ্ব শুধুমাত্র আঞ্চলিক নয়; এর প্রভাব বিশ্ব জুড়ে তেলের দাম ও নিরাপত্তা প্রশ্নে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এখন দেখার বিষয়—দ্বিতীয় পর্যায়ে কী ঘটবে, এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতি কবে শান্তিতে আসবে।