১৭ই জুন, ২০২৫ 🔻 ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬

ঈদের এক মাস আগে মসলার দাম বেড়েছে: ভোক্তাদের মাঝে উদ্বেগ

শেয়ার করুন:

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশে মসলার বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ঈদের এক মাস আগে থেকেই মসলার দাম বাড়তে শুরু করেছে, যা ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জন্য এই পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা জানান, মসলার দাম বৃদ্ধির পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। ডলারের মান কমে যাওয়ায় আমদানির খরচ বেড়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারেও মসলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে, পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় মসলার উৎপাদন খরচও বেড়েছে। এসব কারণে মসলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে মানভেদে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। আর পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ৭০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ৫০-৬০ টাকা ছিল। দেশি রসুন প্রতি কেজি সর্বনিু ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এ পণ্য এক মাস আগে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮৫ থেকে ২৪০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা, যা এক মাস আগেও খুচরা বাজারে ৩০০ টাকা ছিল। আমদানি করা শুকনা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৪৩০ টাকা। প্রতি কেজি হলুদ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪২০ টাকা।

পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, যা মাসের ব্যবধানে ২০ টাকা বেশি। দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৫০ টাকা। প্রতি কেজি জিরা কিনতে ক্রেতার গুনতে হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। ৫৫০ টাকা কেজি দরের দারুচিনি মাসের ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।

প্রতি কেজি লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, যা এক মাস আগে ১৩৫০-১৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪৬০০ থেকে ৫৩০০ টাকা, যা এক মাস আগে ৪৫০০ থেকে ৫১০০ টাকা ছিল।

বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, মসলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে। তবে, তারা দাবি করেন যে, তারা মসলা কিনছেন উচ্চ দামে, তাই বিক্রির সময়ও দাম বাড়াতে হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান জানান, বাজারে অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে, তিনি বলেন, বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে এবং অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধি পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।