২০শে জুলাই, ২০২৫ 🔻 ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২🔻 ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭

ঈশ্বরদীতে চিনিকল বাঁচাতে মানববন্ধন

শেয়ার করুন:

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতনিধি: রাষ্ট্রায়ত্ত পাবনা চিনিকল বন্ধের ষড়যন্ত্র প্রতিহত, বকেয়া বেতনসহ শ্রমিক-কর্মচারী, আখচাষির পাওনাদি পরিশোধ ও দেশের ১৫ টি চিনিকলের মাড়াই মৌসুম একসঙ্গে চালু করার দাবিতে ঈশ্বরদীতে মানববন্ধন ও পথসভা করেছেন বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষি ফেডারেশনের লোকজন।

শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ঈশ্বরদীতে অবস্থিত জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর সামনের সড়কে সাড়ে ১০টায় মানববন্ধন ও পথসভা করা হয়।

‘শিল্প বাঁচাও, কৃষি ও কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিZ¡ করেন বাংলাদেশ আখচাষি ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান আলী বাদশা ওরফে পেঁপে বাদশা। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক- কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও পাবনা সুগার চিনিকল শ্রমিক- কর্মচারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জাম উজ্জ্বল সরদার, পাবনা চিনিকল শ্রমিক- কর্মচারী ওয়ার্কস ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন।

শ্রমিক- কর্মচারী ও আখচাষিদের এই দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে এতে আরও বক্তব্য দেন ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, সহসভাপতি মোহাম্মদ রশিদুল্লাহ, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী মালিথা, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা ও আখচাষি নেতা ও উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ন আহবায়ক মুরাদ আলী মালিথা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে শাজাহান আলী বাদশা বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকার দেশের ১০টি চিনিকল বেসরকারীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শ্রমিকদের পাওনাসহ নানা বিষয়ের হিসাব নিচ্ছে সরকার। কিন্তু আমরা চিনিকল বেসরকারীকরণ নয়, আধুনিকায়ন চাই। কারণ, দীর্ঘ দিনের পুরোনো শিল্প চিনিকলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লাখো শ্রমিক ও হাজারো পরিবার। সরকারের শুধু লোকসানের কথা চিন্তা করলে হবে না, এতগুলো শ্রমিকের জীবনের কথাও ভাবতে হবে। শ্রমিকদের কর্মহীন না করে, এ খাতের আধুনিকায়ন করতে হবে।’
পরে পাবনা সুগার চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জাম উজ্জ্বল সরদার সাত দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো পাবনা চিনিকল লাভজনক করতে আধুনিকায়ন ও ডিস্টিলারি ইউনিট স্থাপন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন, সুগার বিট প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটির টাকা পরিশোধ, আখচাষিদের টাকা সময়মতো পরিশোধসহ সারা বছর চিনিকল চালু রাখতে সেগুলোকে র সুগার আমদানির অনুমতি দিয়ে পরিশোধন কারখানা স্থাপন।
পাবনা চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাহিদ আলী আনসারী জানান, ‘বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোরেশন এ চিনিকলের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তারা কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা বলতে পারছি না।’

২৭ সেপ্টেম্বর শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এক অনুষ্ঠানে বলেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধ হবে না। তিনি বলেছেন, সরকারি এসব চিনিকলের কোনও শ্রমিক ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনাও সরকারের নেই। বরং চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে এগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।