কক্সবাজারে নারী ধর্ষণের ঘটনায় মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে কক্সবাজারে নারী ধর্ষণের ঘটনায় মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে
এসপি আরও বলেন, সেই মামলায় যে নামটি তিনি ব্যবহার করেছেন, ২২ ডিসেম্বরের ঘটনার পরে মামলায় একই নাম দিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন হোটেলে ভিন্ন নামে রাত্রিযাপনের তথ্য পেয়েছি। এ ঘটনার (২২ ডিসেম্বরের) পর যখন তার সঙ্গে হাসপাতালে কথা বলেছি তখন তার তিনটি নামে নিজেকে উপস্থাপন করেন ভিকটিম নারী। তাহলে তাকে কি করে গণমাধ্যম পর্যটক হিসেবে আখ্যায়িত করবেন? এমন প্রশ্ন রাখেন এসপি।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, একটি অপ্রিয় সত্য হলো- ‘নারী-মদ-পানি’ তিনের সমন্বয় যেকোন পর্যটন নগরীতে বিদ্যমান। তবে, বৈধতা এক্ষেত্রে একটি বড় ফ্যাক্ট। কক্সবাজারে মদের বৈধতার কিছু ক্ষেত্র থাকলেও মনোরঞ্জনের জন্য নারীর বৈধতার ক্ষেত্র নেই। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে কোনো নারী কক্সবাজারে আগত পর্যটকের সাথে একীভূত হয়ে হোটেলে অবস্থান করলে হোটেল কর্তৃপক্ষের কিছুই করার বা বলার থাকে না। আবার কিছু অসাধু ব্যক্তি লোভে পড়ে কটেজ বা হোটেলে নারী রেখে অনৈতিক ব্যবসা করেন। খবর পেলে সেসব হোটেল- কটেজে অভিযান চালায় প্রশাসন। ৮ জানুয়ারিও এভাবে এক অভিযানে ৫৪ জন নারীকে খদ্দেরসহ গ্রেফতার করেছিলো। এভাবে প্রায় ধরা পড়ে কিছু নারী-পুরুষ। এসব নারী কখনো-ই পর্যটক নন। তবে, তারা পর্যটন অনুষঙ্গ বলা যায়। গত বুধবারের ঘটনায় ভিকটিমকে পর্যটক আখ্যা দিয়ে প্রচারণা আমাদের কক্সবাজারের ঐতিহ্যের চরম ক্ষতি করেছে। এরপরও অভিযোগ ওঠা বিষয়ের সঠিক বিচার কাম্য আমাদের।