২০২৫ সালের ২৩ এপ্রিল, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় পর্যটক এবং একজন নেপালি নাগরিক ছিলেন । এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামক একটি গোষ্ঠী, যেটি পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে । এছাড়া, ১৯৬০ সালের ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে পানি বণ্টনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ছিল। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের প্রধান ক্রসিং পয়েন্টও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ।
পাকিস্তান এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং এটিকে “ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন” বলে দাবি করেছে । পাকিস্তান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করেছে, আকাশসীমা ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ করেছে এবং ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি সহ সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করেছে ।
বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই উত্তেজনা দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে, যা দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। বিশ্ব নেতারা উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিনের বিরোধের সমাধান ছাড়া এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।