খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক এক সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো পুনরায় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে শিক্ষার্থীরা আবারও তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে লাঞ্ছিত করেছিলেন, যার ফলে ওই অধ্যাপক অসুস্থ হয়ে মারা যান। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে।
তবে পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং বিভিন্ন পক্ষের সুপারিশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারছেন।