বিশ্বজুড়ে মহামারী মোকাবিলায় এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তির হাত ধরে। এখন আর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরে নয়, বরং শুরু হওয়ার আগেই সতর্ক হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা ভবিষ্যতে মহামারী দমন ও নিয়ন্ত্রণে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে।
বিশাল তথ্যভাণ্ডার বিশ্লেষণ করে AI এখন সংক্রমণের সম্ভাব্য উৎস, ছড়িয়ে পড়ার ধরণ এবং ক্ষতির মাত্রা আগেই চিহ্নিত করতে সক্ষম। চিকিৎসাবিজ্ঞানী এবং প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, আবহাওয়া, পরিবেশ, মানুষের চলাচল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য মিলিয়ে AI এমন ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে যা হাতে কলমে গবেষণা দিয়ে করা সময়সাপেক্ষ কাজের চেয়ে অনেক দ্রুত।
“মহামারী মোকাবিলায় সময়ই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। AI আমাদের হাতে সেই সময় এনে দিয়েছে,” বললেন অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের গবেষক।
কানাডাভিত্তিক গবেষণা সংস্থা BlueDot ২০১৯ সালে COVID-19 এর সম্ভাব্য ঝুঁকি শনাক্ত করে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছিল। একইভাবে, হার্ভার্ডের HealthMap প্রকল্পও বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগের গতিপ্রকৃতি নিরীক্ষণ করে চলেছে। এসব প্রকল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবদানই সবচেয়ে বেশি।
তবে, প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, তথ্যের স্বচ্ছতা, ডেটার গোপনীয়তা এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত না হলে AI-এর এই সম্ভাবনা কাজে লাগানো কঠিন হবে।