২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

গৃহকর্মীর শরীরে খুনতির ছ্যাঁকায় মামলা,গৃহকর্তা আটক

শেয়ার করুন:

                                                          মিঠু(৩৫)

 ইছামতিনিউজ২৪.কম রিপোর্ট: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার জান্নাতুল নামে ৯ বছরের এক কাজের মেয়েকে খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দেবার ঘটনায় মামলা দায়ের। অভিযুক্ত গৃহকর্তা মিঠু(৩৫) আটক। গৃহকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানাযায়, সাঁথিয়া উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের (ক্যানাল পাড়ার) জান বক্্েরর প্রথম পক্ষের দ্বিতীয় সন্তান শিশু জান্নাতুলকে অভাবের কারণে মা নুরজাহান ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি বাসায় কাজের জন্য পাঠান। উপজেলার রায়েকমারী গ্রামের মুত আ: রহমান বিএসসি’র স্ত্রী সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মায়া খাতুন মেয়েটির দায়িত্ব নেন তার ছেলে মিঠুর বাসার গৃহকর্মীর জন্য।

 সেখানে গৃহকর্তা মিঠুর স্ত্রীর নির্যাতনে অতিষ্ঠিত হয়ে উঠে ছোট জান্নাতুল(৯)। গৃহকর্তার স্ত্রী শাপলা খাতুন প্রায় জান্নাতুলকে মারপিট ও গরম খুনতির ছ্যাঁকা দিত। গত ২৯ অক্টোবর ৯ মাস পর তাকে বাসে ঢাকা থেকে পাবনায় পাঠায়। মিঠুর মা মায়া খাতুন জান্নাতুলকে বাড়িতে পৌছে দেন।
এসময় গৃহকর্মীর মা নুরজাহান মেয়ের শরীওে পুড়ার দাগ ও ক্ষত দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পরে।
৩০ অক্টোবর নুরজাহান খাতুন ঢাকার খিলক্ষেত থানায় গৃহকর্তা মিঠু ও তার স্ত্রী শাপলা (২৮)কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। যার নং ২৯। থানা পুলিশ ওই দিনই দ্রৃত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে খিলক্ষেতের বাসা থেকে মিঠু(৩৫)কে আটক কওে বলে নিশ্চিত কওে থানার ডিউটি অফিসার এসআই আবু হানিফ। আজ রবিবার আসামী মিঠুকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে গৃহকর্তার স্ত্রীর নির্মম অত্যাচারে শরীরের পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন অংশের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জান্নাতুলকে শনিবার রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জান্নাতুল জানায়, কোন কাজ করতে বা নির্দেশ পালন করতে বিলম্ভ হলেই মিঠুর স্ত্রী শাপলা শুরু করতো অসহনীয় অত্যাচার। যাতে শব্দ বাইরে না আসে তার জন্য মুখের মধ্যে গামছা পুরে দিত। আমি বাড়ি আসতে চাইলে তারা নিষেধ করতো। আমার মায়ের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে দিত না। বাড়িতে এসে নির্যাতনের কথা কাউকে যেন না বলি সেজন্য আমাকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়েছে। এমন কি শাপলা বলে দিয়েছিল বাড়িতে এসে আমি যেন বলি সড়ক দূঘর্টনায় আহত হয়েছিলাম।
জান্নাতুলের মা নুরজাহান জানান, মিঠুর মা সাঁথিয়ার ক্ষেতুপাড়া আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মায়া ম্যাডাম বরণ পোষণ ও বিয়ের চুক্তিতে বাসার কাজের জন্য আমার মেয়েকে ঢাকার উত্তরার খিলক্ষেত তার ছেলের বাসায় পাঠান। মিঠুর মা মাসে মাসে ঢাকায় গেলেও অত্যাচারের কথা গোপন রেখেছিল। আমি আমার মেয়ের “পেটের ভাতের জন্য কাজে পাঠিছিলাম, অত্যাচারের জন্য নয়”। তিনি মেয়ের প্রতি নির্যাতনের বিচার দাবি করেন।
এব্যাপারে মিঠুর মা ক্ষেতুপাড়া আব্দুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মায়া খাতুন জানান, জান্নাতুলকে আমি কাজের জন্য ঢাকা পাঠাই। সেখানে সে সড়ক দূঘর্টনায় আহত বলেই ফোন কেটে দেন।
এব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা স্থল ঢাকা হওয়ায় মামলা সেখানেই করতে হবে। আমি জান্নাতুলের পরিবারকে ঢাকায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।