জানা গেছে,উপজেলার নিমাইচড়া গ্রামের পশ্চিম পাশের বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কাটা গাঙের পাড়ে গড়ে উঠেছিল অস্থায়ী অবৈধ সীসা তৈরির কারখানাটি। চারপাশে বিল। মানুষের যাতায়াত নেই বললেই চলে। নদীর পাড়ের অধিকাংশ স্থান ডুবে গেছে বর্ষার পানিতে। চাটমোহর-হান্ডিয়াল সড়কের পশ্চিমের এমন একটি নির্জন উঁচু স্থানে সীসা তৈরীর এ কারখানাটি গড়ে তুলেছিলেন পাবনার বেড়া থানার মরিচাপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদ নমের এক ব্যক্তি।
সরেজসিন গিয়ে দেখা যায়,নদীর পাড়ে অস্থায়ী তাবু। তাবুর পাশে দুইটি চুলা। সীসা তৈরীর উপকরণ ও সরঞ্জামাদি রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামের আশরাফুল,নেওলাই পাড়া গ্রামের হাসর আলী,নতুন ভারেঙ্গা এলাকার রাজ্জাক আলী শেখ এবং একই এলাকার শওকত আলী এ চারজন সীসা তৈরীর কাজ করতেন বলে জানা যায়।
এলাকাবাসী জানান,প্রায় দেড় মাস যাবত এখানে রাতে রাতে সীসা তৈরী করা হয়। সীসার ক্ষতিকর ধোয়া ও বিষক্রিয়ায় এ এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। চায়না কোম্পানীর সীসার পাউডার ময়লা কিনে এনে এখানে তা পুড়িয়ে সীসার বার তৈরী করা হয়। আব্দুর রশীদ এবং তার ছেলে আরিফ এ ব্যবসা পরিচালনা করেন।
কাটা গাঙের পাড়ে অবৈধ সীসা কারখানা গড়ে উঠেছে এমন খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন তাকে সহযোগিতা করেন। সৈকত ইসলাম জানান,অস্থায়ী সীসা কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে একটি জেনারেটর ও একটি হাওয়া মেশিন জব্দ করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে সীসার বার পাওয়া যায়নি। মালিককে ও পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।