২০শে জুলাই, ২০২৫ 🔻 ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২🔻 ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭

চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শাহজাদপুর

শেয়ার করুন:

বিধান চন্দ্র ঘোষঃ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিখ্যাত চিত্রশিল্পী, নন্দনতাত্ত্বিক ও লেখক। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রপৌত্র, মহর্ষি দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুরের  তৃতীয় ভ্রাতা গিরীন্দ্র নাথ ঠাকুরের  প্রৌত্র,গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র।সেইদিক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের  ভাইপো।কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাজকর্মের অনুপ্রেরণা ছিল রবীন্দ্রনাথ।সে কথা তিনি তাঁর লেখনীতে উল্লেখ করেছেন।বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জমিদারীর কাজ দেখাশুনার জন্য শাহজাদপুরে এসে ছিলেন। শাহজাদপুরে বসে রচিত রবীন্দ্রনাথের বিশাল সৃষ্টিকর্ম রয়েছে। শাহজাদপুরের আলো, বাতাস প্রকৃতি রবীন্দ্র সৃষ্টিতে অনেকটা প্রভাবিত করেছে-রবীন্দ্রনাথ ছিন্নপত্রে উল্লেখ করেছেন।এক সময় ঠাকুর পরিবারের জমিদারী ভাগাভাগি হলে-শাহজাদপুরের জমিদারের অংশ কবি গুরুর ভাইপো অবন ও গগন  ঠাকুরদের ভাগে পড়ে।সেই সুবাদে শিল্পগুরু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুরে এসেছিলেন। তার দাদা গগেন্দ্র নাথ ঠাকুর এখানে এসেছিলেন। কবিগুরুর মতো শাহজাদপুরের আলো,বাতাস, প্রকৃতি শিল্পগুরু অবনীন্দ্র নাথ ঠাকুরকে মুগ্ধ করেছিল। অবন ঠাকুর শাহজাদপুরে বসে অনেক গুলো চিত্র এঁকে ফেলেন।অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত চিত্রাবলীর নাম-“শাহজাদপুরের দৃশ্যাবলী”।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শাহজাদপুর বসে অনেক ছবি আঁকেন।

এক সময় শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের আঁকা দু’টো অ্যালবাম ছিল।শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাচার বাড়ির নীচ তলায় রবীন্দ্রনাথের আঁকা অনেক ছবি আছে। কিন্তু অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা কোন ছবি নেই। কতৃপক্ষ এখানে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ছবি দিয়ে-“অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্যালারি “স্থাপন করতে পারে।অবন ঠাকুরের স্মৃতি ধরে রাখতে আশা করি  এ উদ্যোগ নিবেন। শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সকল কার্যক্রম এখনো শুরু করতে পারেনি।আশা করি চারুকারু বিভাগ খুললে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রকর্ম নিয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।চিত্রশিল্পী ও সাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

লেখকঃ সহকারী শিক্ষা অফিসার, সুজানগর, পাবনা।