![]() |
ক্রেতার অপেক্ষায় খামারী ও ব্যবসায়ীদের অপেক্ষা। সড়কে পশু বহনকারি পরিবহনে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। মিয়াপুর হাটের স্থলে তিল ঠাঁই ছিল না পশু দাঁড়ানোর। |
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম (মিয়াপুর) পশুর হাট ছিল শনিবার (২৫ জুলাই) । সকাল থেকেই কোরবানির পশুর চাপে নাকাল হয়ে পড়ে হাটের প্রবেশ দ্বার রাস্তাসহ হাট। হাটে জায়গা না হওয়ায় অনেক খামারী ও ব্যবসায়ীকে সড়কে পশু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সকাল ১১টার মধ্যে পশুর হাট কানায় কানায় ভরে উঠে। পশুর তুলনায় হাটে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। যে সব ক্রেতা গরু ক্রয় করতে আসেন, তারা দাম কম হাকান। এতে বিক্রেতাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। গরুর তুলনায় ভিন্ন টিত্র ছিল মহিষের বাজার।
মহিষ যারা কোরবানি দেবেন, তাদেরকে একটু বেশি টাকা গুণতে হয়েছে। তবে মহিষের ব্যবসায়ী ইব্রাহীম জানান, যে মহিষটি ১ লক্ষ ৫০ হাজার ছিল,তা আজ ১লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বিক্রয় করতে হলো। গরু ব্যবসায়ী কাশিনাথপুরের কোরবান, বেলাল জানান, যে টাকা দিয়ে গ্রাম থেকে পশু ক্রয় করেছিলাম, সে তুলনায় বাজার অনেক কম। আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি। মিয়াপুর গ্রামের খামারী তাহের জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম অনেক কম। বাজারে খর ও ভ’ষির যে দাম সে তুলনায় আমাদের গরু পালন করে ক্ষতির মুখে পড়তে হলো। উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের জব্বার জানান, সকালে গিয়ে হাটে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় গরু নিয়ে বসে ছিলাম। গরু বিক্রয় না হওয়ায় ফেরত নিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে বেশি বাজার খারাপ গেছে ছাগলের। হাটে প্রচুর ছাগল উঠায় ক্রেতারা কম দামে ক্রয় করে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরেছেন।
অপর দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট লাগনোর সরকারি বিধিনিষেধ থাকলেও হাটের কোথাও তার ছিটে ফুটা ছিল না। পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে শতকরা ৫ শতাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না।
পশুর হাটে সামাজিক দুরত্ব মানার কথা থাকলেও একজনের সাথে অন্য জনের গাঁ লাগানো ছিল সর্বস্তরে। এতে করোনা কালিন সময়ে গ্রাম পর্যায় আক্রান্তের পরিমান ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
মিয়াপুর পশুর হাটের ইজারাদার খন্দকার শামীম জানান, পশুর উপস্থিতি তুলনায় ক্রেতার উপস্থিতি কম ছিল। সে তুলনায় বেচা কেনাও কম হয়েছে। আমাদের চাহিদার তুলনায় অনেক পশু হটে উঠেছে।
ক্রেতার অপেক্ষায় খামারী ও ব্যবসায়ীদের অপেক্ষা। সড়কে পশু বহনকারি পরিবহনে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। মিয়াপুর হাটের স্থলে তিল ঠাঁই ছিল না পশু দাঁড়ানোর।
Post Views: 9