২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

দিনাজপুরে মা-ছেলে অপহরণ, ৩ পুলিশ আটক

শেয়ার করুন:

দিনাজপুর প্রতিনিধি: 

দিনাজপুরে ফিল্মি স্টাইলে মা জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে অপহরণের পর ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায়ের সময় রংপুর সিআইডি জোনের এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনেস্টবল আহসানুলকে আটক করেছে পুলিশ।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্র্মকর্তা ঘটনার স্বীকার মা-ছেলের স্বজন ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (২৩ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেডাই গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মা জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে অপহরণ করা হয়। এ সময় মা ও ছেলেকে মারপিটও করে অপহরণকারীরা। এরপর জহুরা বেগমের বাড়ির লোকজন র‌্যাব, ডিবি, পুলিশসহ বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিষয়ে খোঁজ নেয়। কিন্তু সবাই বলে তারা এমন আটকের বিষয়ে কিছু জানে না। এর কিছুক্ষণ পরে অপহরণকারীরা মোবাইলে জহুরা বেগমের স্বামী লুৎফর রহমান ও দেবর রমজানের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

এরপর মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে স্ত্রী ও সন্তানকে উদ্ধারে মুক্তিপণের টাকা দিতে যায় স্বামী লুৎফর রহমান ও দেবর রমজান আলী। তদের সঙ্গে সিভিল পোশাকে পুলিশ রয়েছে টের পেয়ে অপহরণকারীরা সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দশ মাইল নামক স্থানে পুলিশ তাদের ধরে ফেলে। অভিযানে জেলা পুলিশ ও চিরিরবন্দর থানার পুলিশ অংশ নেয়। আটকের পর পুলিশ জানতে পারে অপহরণকারীদের মধ্যে রংপুর সিআইডি জোনের এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনেস্টবল আহসানুল রয়েছেন।

চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, আটকদের দিনাজপুর ডিবি অফিসে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলার প্রস্তুতি চলছে। অপহৃত মা জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকেও ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে।

দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, ঘটনার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানানো হবে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।