১৭ই জুন, ২০২৫ 🔻 ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬

দেবোত্তর-একদন্ত সড়কের ১২ কি.মি. বেহাল, দূর্ভোগ চরমে

শেয়ার করুন:

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি ঃপাবনার আটঘরিয়ার দেবোত্তর-একদন্ত সড়কের সাড়ে ১২ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। অল্প জৎসামান্য বৃষ্টি হলেই ওইসব স্থানে পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হয়। ঘটছে অহরহ সড়ক মারাত্মক দূঘর্টনা। কেউ বা পঙ্গুত্ব বরণ করছে, আবার কেউ বা হারাচ্ছে জীবন। তবে দেবোত্তর বাজারের মধ্যে ব্যাপক খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। পথচারীরা সময়মত তাদের সঠিক স্থানে পৌঁছাতে পারছে না বলে তারা হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাদের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রæত রাস্তাটি সংষ্কার করা দরকার বলে মনে করছেন তারা।

সরজেমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে। তবে দেবোত্তর বাজারের পূর্বপাশে রাস্তার মাঝে খানে ভেঙ্গে বিশাল গর্তে পরিণত হয়েছে। এই গর্তে পরে প্রতিদিন অটো রিকশা,  সিএনজি, অটোভ্যান চালকেরা ও যাত্রীরা দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। 
অটোভ্যান চালক খাইরুল, রাসেল, জহুরুল, দুলাল, সুমন, স্বপন, সিরাজ, ফার্ণিচার ব্যবসায়ী সোহেলসহ অনেকের সাথে কথা হয় তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দেবোত্তর-একদন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে বিশাল গর্তের পরিণত হয়েছে। আমাদের অনেক সময় রোগী নিয়ে দ্রæত যাতায়াত করার সময় দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। ফলে নিজের জীবন বাজি রেখে এই ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে যাতাযাত করতে হচ্ছে আমাদের।
দেবোত্তর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সাইদুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা হওয়ায় অত্র এলাকার শিক্ষার্থী, সরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও  জনগণের চলাচলের চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি ও সময় নষ্টসহ দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। অতিদ্রæত রাস্তাটি মেরামত ও সংস্কার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্দ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি। 
জনৈক সংবাদকর্মী জানান, সে গত কয়েক দিন আগে এই রাস্তা দিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় দেবোত্তর বাজারের পূর্বপাশে বিশাল গর্তের মধ্যে পড়ে মারাত্বকভাবে আহত হই। পরে আমি স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসা গ্রহণ করি এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হই। তবে আমার মত অনেকেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পঙ্গুত্বসহ নানা সমস্যার সন্মুখীন হতে হচ্ছে।
অটোরিকশা চালক আব্দুল খালেক জানান, আমি দীর্ঘ দিন এই রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে অর্থ উপার্জন করে পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালায়। কিন্তু বর্তমানে রাস্তার যে অবস্থা হয়েছে গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই রাস্তার মত খারাপ রাস্তা আর কোথাও দেখিনি। রাস্তাটি দ্রæত মেরামত করা অতি প্রযোজন বলে মনে করেন তিনি।