আজ রবিবার ( ২৯ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সভা হয়। সন্ধ্যায় কমিশন সভার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের তুলে ধরেন ইসি সচিব। এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করতে চায় কমিশন। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে ২৫টি পৌরসভায় ইভিএমে ২৮ ডিসেম্বর ভোটের তফসিল দেওয়া হয়েছে। তিন শতাধিক পৌরসভার মধ্যে আরো ১৬৯টি পৌরসভা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন উপযোগী রয়েছে। রবিবারের কমিশন সভায় সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, আর তিনটি ধাপে ১৬৯ পৌরসভায় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ভোট মধ্য জানুয়ারি, তৃতীয়ধাপের ভোট জানুয়ারির শেষের দিকে। আর চতুর্থ ধাপের ভোট হবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে। এ লক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভাগুলোর ভোটের তফসিল চলতি সপ্তাহে দেওয়া হতে পারে। সক্ষমতা, প্রাপ্তি, প্রশিক্ষিত লোক ও কারিগরি বিষয় বিবেচনায় সব পৌরসভায় ইভিএমে ভোট করা সম্ভব হবে না বলে জানান সচিব।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি ধাপে ইভিএমে ভোট হবে ৩০টির মতো পৌরসভায়। বাকিগুলোয় ব্যালটে ভোট হবে। শীতকাল হওয়ায় সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপের তফসিল খুব তাড়াতাড়ি হবে। কর্মপরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন করলেই তফসিল দেওয়া হবে। বাকি পৌরসভাগুলোয় প্রতিটি ধাপে অন্তত ৬০ করে পৌরসভার তফসিল দেওয়া হবে বলে জানান সচিব।
ধাপে ধাপে বাকি নির্বাচন ইভিএমে হবে বলে ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জানিয়েছেন। দেশের পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়।
স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩৬ দিন সময় দিয়ে ভোটের তারিখ দেওয়া হয় ৩০ ডিসেম্বর। এক দিনে ভোট হয় ২৩৪টি পৌরসভায়। বাকিগুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ বিবেচনায় ও বিভিন্ন জটিলতা সেরে ভোট হয়।
প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধনের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রবাসে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হতে কোনো ফি দিতে হবে না।