কাশ্মীর উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সংঘাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে, যখন পাকিস্তান দাবি করেছে তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাম এলাকায় একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়। ভারত সরকার দাবি করে, এই হামলার পেছনে রয়েছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইয়্যবা। প্রতিক্রিয়াস্বরূপ, ভারত “অপারেশন সিনদুর” নামে একটি সামরিক অভিযান চালায় পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে।
এই অভিযানে ভারতীয় বিমান বাহিনী আধুনিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর ওপর হামলা চালায়। পাকিস্তান এর প্রতিক্রিয়ায় তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করে এবং ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে বলে দাবি করে।
পাকিস্তান যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:
তিনটি Dassault Rafale (ফ্রান্স)
- মূল বিমান মূল্য: $120 মিলিয়ন
- SCALP ক্রুজ মিসাইল, Meteor BVR মিসাইল, Hammer গাইডেড বোমা ইত্যাদি: $30–$40 মিলিয়ন
- ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম (SPECTRA system), targeting pods, jammer: $10–$15 মিলিয়ন
- মোট আনুমানিক মূল্য: $160–$175 মিলিয়ন
- বাংলাদেশি টাকায় (প্রতি ডলার = ১১০ টাকা): ১,৭৬০–১,৯২৫ কোটি টাকা (প্রতি Rafale)
একটি Mikoyan MiG-29 (রাশিয়া)
- মূল বিমান মূল্য: $25 মিলিয়ন
- R-77, R-73 মিসাইল, গাইডেড বোমা: $10–$15 মিলিয়ন
- Radar ও ECM প্যাকেজ: $5 মিলিয়ন
- মোট আনুমানিক মূল্য: $40–$45 মিলিয়ন
- বাংলাদেশি টাকায়: ৪৪০–৪৯৫ কোটি টাকা
একটি Sukhoi Su-30MKI (রাশিয়া-ভারত যৌথ নির্মাণ)
- মূল বিমান মূল্য: $62 মিলিয়ন
- BrahMos-A সুপারসনিক মিসাইল (যদি বহন করে): $30 মিলিয়ন
- Guided bombs, R-77, R-73 মিসাইল: $10–$15 মিলিয়ন
- EW ও targeting systems: $10 মিলিয়ন
- মোট আনুমানিক মূল্য: $110–$120 মিলিয়ন
- বাংলাদেশি টাকায়: ১,২১০–১,৩২০ কোটি টাকা
এই পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ায় ভারতের আনুমানিক ক্ষতি:
- ডলারে: $630–$735 মিলিয়ন
- বাংলাদেশি টাকায়: ৬৯৩০–৮০৮৫ কোটি টাকা
এছাড়াও প্রতিটি বিমানে থাকা আধুনিক অস্ত্র ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ সরঞ্জামও ধ্বংস হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য আরও অনেক বেশি।
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহল চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয় দেশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায় এবং আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের তাগিদ দেয়।
ভারতের পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান হারানোর ঘটনা শুধু প্রতিরক্ষা খাতের জন্য নয়, দেশের অর্থনীতির জন্যও বড় ধাক্কা। কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, এবং এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
এই ধরনের সংঘাত শুধু দু’দেশের জন্যই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই হুমকিস্বরূপ। এখন সময় এসেছে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সংযত হওয়ার এবং কূটনৈতিক সমাধানের দিকে ফিরে যাওয়ার।