২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

পাবনার মাটি ও মানুষের প্রতি আমার আন্তরিকতা থাকবে-বিদায়ী জেলা প্রশাসক

শেয়ার করুন:

এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ যেখানেই যাইনা কেন সুজানগর উপজেলা সহ পাবনা জেলার মাটি ও মানুষের প্রতি আমার আন্তরিকতা থাকবে বলে জানিয়েছেন পাবনার বিদায়ী জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ। সোমবার(১৪ জুন) সুজানগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তিনি আরো বলেন, যে কোন সরকারি  কর্মকর্তাকে চাকুরী জনিত কারণে বদলী হতে হয়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। প্রশাসনিক ক্যাডারে অনেক কর্মকর্তা থাকলেও  জেলা প্রশাসক হিসেবে মাঠ পর্যায়ে জনগণের সাথে কাজ করার সুযোগ অনেক কম কর্মকর্তারই হয়ে থাকে। আমার এই সুযোগ হওয়াতে আমি আমার মেধা,দক্ষতা ও সততা দিয়ে পাবনায় ২ বছরের  অধিক কর্মকালীন সময়ে যতটুকু পেরেছি সকলের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। জেলা প্রশাসক সকল দপ্তরের কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসেবে একজন জেলা প্রশাসক একটি জেলায় বেশীদিন থাকার সুযোগ থাকে না। সে ক্ষেত্রে  আমি ভাগ্যবান যে এ জেলায় অনেকদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তিনি বলেন পাবনা জেলায় কর্মকালীন সময়ে আমার কাজের কোন  ব্যর্থতা থাকলে সেটি একান্তই আমার আর সফলতা থাকলে তা সামগ্রীকভাবে সবার।  কর্মকালীন সময়ে  আমার আচারণে  বা কথাবার্তায় কেউ কোন কষ্ট পেয়ে থকলে  অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর  দৃষ্টিতে দেখবেন। এই বিদায় বেলায় আমি সকলের কাছে  দোয়া প্রার্থী। সকলেই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।  আমিও আপনাদের জন্য দোয়া করি। যতদিন বাঁচি ততদিন যেন আমি  মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যেতে পারি। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রওশন আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান জর্জ এর সঞ্চালনায় জেলা প্রশাসকের বিদায় সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায়  বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন ও  সুজানগর পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম রেজা । বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন  বিদায়ী জেলা প্রশাসকের কর্মকালীন সময়ের জেলার সমন্বয়ক হিসেবে বিভিন্ন সরকারি বিভাগ সহ অন্যান্য বিভাগের সাথে  অত্যন্ত আন্তরিকতা,সততা,বিচক্ষণতা ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য তার প্রশংসা করেন।এবং তার সুস্বাস্থ্য ও সার্বিক মঙ্গল কামনা  করে  তিনি যেখানেই থাকুন  না কেন সুজানগরের মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা রাখেন।  সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলী সুজানগর সহ পাবনা জেলার উন্নয়নে জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন কর্মকান্ড ও দক্ষ ভূমিকা  নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা.মর্জিনা খাতুন, সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ হাবিবুর রহমান,উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জামাল উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হাশেম, উপজেলা কৃষি অফিসার রাফিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমুল হুদা,উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল জব্বার, সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম সামছুল আলম,ভাঁয়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন, তাঁতীবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মৃধা, দুলাই ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান, মানিকহাট ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আমিনুল ইসলাম, হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সুজানগর উপজেলা  শাখার সভাপতি শ্রী সুবোধ কুমার নটো, এন এ কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন,মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদের এবং সুজানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি এম এ আলিম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সুজানগর উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি,বীর মুক্তিযোদ্ধা,শিক্ষক,ইমাম,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক,সুধী সমাজ ,গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ উপজেলা বিভিন্ন  শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শেষে সুজানগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাবনার বিদায়ী জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদকে উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।