১৪ই জুলাই, ২০২৫ 🔻 ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৮ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

পাবনায় কাঁচা মরিচে ঝাঁঝ,বেগুনে আগুন মধ্যে ও স্বল্প আয়ের মানুষ বেহুশ!

শেয়ার করুন:

ইছামতিনিউজ২৪ডেস্কঃ
পাবনা জেলার কাঁচা বাজার লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলছে প্রতিনিয়ত। কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ ও বেগুনে লাগা আগুনে বেহুশ মধ্যে ও স্বল্প আয়ের মানুষ। বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা। মরিচ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আলু পটোলসহ অন্য তরকারির দামও বেশি।
অতি বৃষ্টি, বন্যাসহ বিরুপ আবহাওয়ায় লাগামহীন হয়ে পড়েছে পাবনা জেলার কাঁচা বাজার। জেলার প্রতিটি উপজেলায় কাঁচা বাজেেরর বৃদ্ধিও ছুয়া পড়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্বল্প ও মধ্যে আয়ের মানুষেরা। এমনকি বিশে^ময় অব্যাহত রয়েছে করোনার মহামারি। এ মহামারিতে নাকাল সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা। অনেকেই চাকরী হারিয়ে হয়ে পড়েছে বেকার। কারও চাকরি থাকলেও নেই বেতন। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ডেকোরেটরের ব্যবসা, ফুটপাতের ব্যবসাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এখন অর্ধহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঠিক এ সময় কাচাঁ বাজারে মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব যেন মানুষকে অভাব নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে। পাবনার বিভিন্ন উপজেলার সবজি ও তরকারির প্রচুর চাষ হলেও অতি বুষ্টিতে তা নষ্ট হয়ে গেছে। এসময় বাজার মূলা, লাউ, বেগুন, লাল শাক উঠার মৌসুম হলেও তা বাজারে নেই বললেও চলে। অতি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে মরিচের ক্ষেত। দেশি মরিচ যেন সোনার হরিণ। বাজারে প্রতি কেজি ভাল বেগুন ৭০ থেকে ১০০ টাকা। মরিচ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রয় হচ্ছে। আলু পটোলসহ অন্য তরকারির দামও বেশি। যা করোনা কালিন অর্থনৈতিক অবস্থায় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অনেকেই বাজারে গিয়ে মাছ কিনলেও দরকারির বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা ঈশ^রদীর বিভিন্ন বাজার,সাঁথিয়ার চতুর বাজার, আতাইকুলার গঙ্গারামপুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজার থেকে তরকারী ক্রয় করে নিজ নিজ বাজারে বিক্রয় করে থাকি। বর্তমানে বাজারে ভালো মানের তরকারী অভাব রয়েছে। ক্রেতাদের চাহিদা মত পণ্য সবরাহ করা আমাদের কঠিন হয়ে পড়ছে। দাম বেশি হওয়ায় আমরা লোকসানে ভয়ে অনেক সময় তরকারি ক্রয় থেকে বিরত থাকতে হয়।