১৫ই জুন, ২০২৫ 🔻 ১লা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬

পাবনা আ,লীগের সম্মেলন আলোচনায় শামসুল হক টুকু ও রেজাউল রহিম লাল

শেয়ার করুন:

পাবনা প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৭ বছর পর আগামীকাল শনিবার (১৯ ফেব্রয়ারী) পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে জেলার রাজনৈতিক মাঠ। কে হবে সভাপতি ও সাধারন সস্পাদক এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। দলের প্রবীণ ও নবীণ পদ প্রত্যাশীদের পোস্টার, ব্যানার, আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো জেলা শহর। এবারের সম্মেলনে দলের সভাপতি ও সম্পাদ পদে একাধিক প্রার্থী প্রচার প্রচারনায় ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন।  সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রবীণ নবীণ মিলে ১৪ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দিতার আলোচনায় রয়েছেন। 

শহরের ঐতিহাসিক পাবনা পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে (পুলিশ লাইনস মাঠে) সকাল ১১টায় সম্মেলন শুরু হবে। দীর্ঘ ৭ বছর পর সম্মেলনকে ঘিরে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে জেলার প্রথম শারির নেতারা নিজেদের প্রচার প্রচারনায় পুরো শহর জুড়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেসটুন ও বিলবোর্ড ঝুলিয়েছেন। তবে এবারের সম্মেলনে দলের অভ্যান্তরে প্রবেশ করা হাউব্রিডদের বাদ দিয়ে দলের প্রকৃত নেতা কর্মীদের নিয়ে নবীণ ও প্রবীণের সমন্বয়ে জেলা কমিটি গঠনের দাবী তুলেছেন তৃণমুল নেতাকর্মীররা। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগের কে হবেন সভাপতি সাধারন সম্পাদক তা নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটি স্থানে চলছে নানা জলপনা কল্পনা। 
দলের তৃণমূল নেতা কর্মীদের প্রত্যাশা নবীন প্রবীন ও ত্যাগী নেতা কর্মীদের নিয়ে জেলা কমিটি গঠনের। একই সাথে দলে অনুপ্রবেশ করা  হাউব্রিডদের যাতে দলে স্থান না দেয়া হয় এমন দাবীও করেছেন তারা।

পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রবীণ নবীণ মিলে ১৪ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দিতায় নাম শোনা যাচ্ছে। এরা হলেন, সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দলের বর্তমান জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জেলা আ,লীগের সহসভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি, সহসভাপতি নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, সহসভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মোঃ ইদ্রিস আলী বিশ^াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম আব্দুর রহিম পাকন, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা  তৌফিকুল আলম তৌফিক। সাধারন সম্পাদক হিসাবে আলোচনায় রয়েছেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য বর্তমান জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক অ্যাড বেলায়েত আলী বিল্লু, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোশারোফ হোসেন, সাধারন সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোঃ মাজহারুল ইসলাম মানিক, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক ইঞ্জিঃ আব্দুল আলিম, সাবেক ছাত্র নেতা কামরুল হাসান মিন্টু। এছাড়া সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক হিসাবে আরো একাধিক প্রার্থী প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন।
তবে সভাপতি হিসেবে তৃণমুল পর্যায়ে জেলার উপজেলাগুলোতে আলোচনায় রয়েছেন পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দলের বর্তমান জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল, জেলা আ,লীগের সহসভাপতি সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি। তৃণমুলের নেতা কর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভরসা রাখতে চান পাবনা সদর আসনের এমপি ও দলের সাধারন সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এর উপর।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, সম্মেলন উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় আ.লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোঃ আব্দুর রহমান। প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় আ.লীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, এছাড়াও থাকবেন যুগ্মসম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী  ড. হাছান মাহমুদ এমপি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এএম কামাল হোসেনসহ কেন্দ্রীয় আ.লীগের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। দীর্ঘ ৭ বছর পরে জেলা আ.লীগের সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। করোনাকারীন বিধিনিশেধের মধ্যেই প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা ভীর করছে দলীয় জেলা কার্যালয়ে।