২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

বজ্রপাতে চার জেলায় প্রাণ হারাল ১৪ জন

শেয়ার করুন:

ইছামতিনিউজ২৪.কম রিপোর্ট: মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে এসব দুর্ঘটনায় নেত্রকোণায় আটজন, ফরিদপুরে চারজন এবং ময়মনসিংহ ও সুনামগঞ্জে একজন করে প্রাণ হারান।

নেত্রকোণায় বজ্রপাতে প্রাণ হারাল আটজন
জেলার চার উপজেলায় বজ্রপাতে আট জন নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও তিন জন।
মঙ্গলবার বিকালের দিকে কেন্দুয়া, খালিয়াজুরী, মদন ও পূর্বধলা উপজেলায় ঝড়-বৃষ্টির সময় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউপির বৈরাটি গ্রামের আসন খানের ছেলে বায়েজিদ (৪২), কান্দিউড়া ইউপির কুণ্ডলী গ্রামের তরব আলীর ছেলে ফজলু মিয়া (৫৫), খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ছেলু ফকিরের ছেলে ওয়াছেক মিয়া (৩৫), আমীর সরকারের ছেলে বিপুল মিয়া (৩২) এবং বাতুয়াইল গ্রামের মঞ্জুরুল হকের ছেলে মনির হোসেন (২৮), মদন উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল মন্নাফের ছেলে আতাবুর (২১), আব্দুল কাদিরের ছেলে শরিফ (১৮) এবং পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাও ইউনিয়নের পাকই গ্রামের ইছহাক মিয়ার ছেলে জুনায়েদ (১১)।

আহতরা হলেন মদনের ফতেপুর গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে রবিন (১৫), হিরন মিয়ার ছেলে রোমান (১৮) এবং চন্দন মিয়ার স্ত্রী সুরমা আক্তার (২২)।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহ নেওয়াজ জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় কৃষক বায়েজিদ ও ফজলু মিয়া মাঠে কাজ করছিলেন। বজ্রপাতে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, বিকাল সোয়া ৩টার দিকে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় পুটিয়ার খালে ওয়াছেক, বিপুল ও মনির মাছ ধরছিলেন। তখন বজ্রপাতে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, বেলা ৩টার দিকে বৃষ্টিপাতের মধ্যে বাড়ির সামনের মাঠে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারান আতাবুর ও শরিফ; আহত হন রবিন ও রোমান। এছাড়া বাড়ির সামনে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হন সুরমা আক্তার।
আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা বলেন ওসি ফেরদৌস।
পূর্বধলা থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির সামনে কয়েকজন শিশু খেলছিল। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জুনায়েদ।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান জানান, বজ্রপাতে নিহতদের পরিবার পিছু ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া আহতদের চিকিৎসায় প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।