২০শে জুলাই, ২০২৫ 🔻 ৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২🔻 ২৪শে মহর্‌রম, ১৪৪৭

বাংলাদেশ বিমান বাহিনিতে Thales Ground Master 403M রাডার সংযুক্ত: আকাশ প্রতিরক্ষায় নতুন দিগন্ত

শেয়ার করুন:

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আধুনিকায়নের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এবার সংযুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক Thales Ground Master 403M (GM403M) রাডার সিস্টেম। এই রাডার সংযোজনের মাধ্যমে দেশের আকাশসীমা নজরদারি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হলো নতুন এক মাইলফলক।

এটি মুলত একটি লং রেন্জ ( ৪৭০ কিঃমি) 3D এয়ার ডিফেন্স রাডার। যদিও এর ইনস্ট্রোমেন্টাল রেন্জ ৬০০ কিঃমি। এর বিশেষত্ব হল স্বল্প উচ্চতায় উড়া ড্রোন, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে ৩০কিঃমি উচ্চতায় ট্যাকটিক্যাল ব্যালাস্টিক মিসাইল শনাক্ত করতে সক্ষম। এটিই বাংলাদেশের TBM আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম।

এছাড়া এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে AI এলগরিদম যা টার্গেট ক্লাসিফিকেশনে সহায়তা করে। এটি স্টেলথ টার্গেট 0.01m2 RCS টার্গেটকে ১০০ কিঃমি এবং ২০০ কিঃমি দুর থেকে ব্যালাস্টিা মিসাইল ডিটেক্ট করতে সক্ষম। রাডারটি কন্টিনিউসলি এক সাথে ১,০০০টি টার্গেট শনাক্ত করতে পারদর্শী। এবং FOE সিস্টেমের সাথে ইন্টিগ্রেড হয়ে কোনটি নিজেদের এবং কোনটি শত্রুপক্ষের তা যাচাই করতেও সক্ষম।

মাত্র ৪-৬ জন ক্রু এই রাডারটি আধাঘন্টা থেকে একঘন্টার মধ্যেই সম্পুর্ণ সেট আপ করতে পারে,এক্ষেত্রে পূর্বে থেকে রাডার গুলো সেটাপ করা থাকলে তার জন্যে বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়না। এটি মোবাইল রাডার হওয়াতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর C-130J পরিবহন বিমানে করে সুবিধাজনক স্হানে স্হানান্তর করা সম্ভব।

সমসাময়িক অন্য রাডারের সাথে তুলনা করলে এই রাডারটি রাশিয়ার S-400 সিস্টেমের 96L6E, ইজরায়েলের ELTA EL/M-2080 Green Pine, এবং যুক্তরাষ্ট্রের Lockheed Martin AN/TPS-77 এর প্রায় একই ক্যাটাগরির সিস্টেম।

তবে এই রাডার বেশ উচ্চমূল্যের, বিশেষ করে আমাদের মত ছোট অর্থনীতির দেশের ক্ষেত্রে। প্রতি ইউনিট কস্ট প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী Thales Ground Master 403M রাডার সংযোজনের জন্য ২০২০ সালে France-এর Thales কোম্পানির সাথে বাংলাদেশ দুটি GM403M রাডার ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষর করে ।

এরপর ১৬ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে এই রাডারগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৭১ স্কোয়াড্রনে (Mirpur, ঢাকা ও বগুড়া) যুক্ত করা হয়।