বিশ্বে নয়টি দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, ইস্রায়েল ও উত্তর কোরিয়া—বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র ধারণ করে । Federation of American Scientists-এর ২০২৫ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের মোট মিলিত পারমাণবিক বোমার সংখ্যা প্রায় ১২,২৪১ টি, যার মধ্যে ৯,৬১৪ টিরও বেশি অস্ত্র সক্রিয়ভাবে সাজানো রয়েছে ।
রাশিয়ার ২০২৫ সালের হিসেব অনুযায়ী মোট পারমাণবিক বোমা সংখ্যা ৫,৪৫৯, যার মধ্যে ১,৭১৮টি সোজা ব্যবহারের তালিকায় । যুক্তরাষ্ট্রেরEnduring Stockpile অনুযায়ী মোট ৩,৭০৮ টি, যার মধ্যে কয়েকশতির মতো পর্যাপ্ত তাত্ক্ষণিক ব্যবহারের অস্ত্র আছে । তবে সংবিধান-বান্ধব হারে সজ্জিত অবস্থায় থাকলেও রাশিয়া–মার্কিন যৌথ শ্রেণিটিতে সংখ্যার সমন্বয় হচ্ছে—১৯৮৬ সালের পিক–প্রেক্ষিতে আজগতির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে ।
চীন বর্তমানে ৫০০–৬০০ পারমাণবিক বোমার ঘোষনা করেছে, যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে ।
ফ্রান্সে প্রায় ২৯০, যুক্তরাজ্যে ২২৫, ভারতের কাছে ১৮০, পাকিস্তানের কাছে ১৭০, ইস্রায়েল ৯০, এবং উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ৫০ বোমা রয়েছে ।
যুদ্ধকালীন ভুল বোঝাবুঝি, সিস্টেম ত্রুটি বা দুর্ঘটনায় পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটার ঝুঁকি থেকে বিশ্ব মুক্ত নয় । ইউএস ও রাশিয়ার New START চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে—তাহলে চালু থাকা বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা পারমাণবিক বর্ধিত হুমকি বাড়তে পারে । নতুন এক যুগের চিত্র আলো করে—প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বর্ধিত প্রতিরক্ষা বাধার মধ্য দিয়ে পারমাণবিক প্রতিক্রিয়া দ্রুততর হতে পারে ।
পারমাণবিক অস্ত্র বিশ্বকে দাঁড়িয়ে রেখেছে এক “চরম নিরাপত্তার দ্বন্দ্বে”। বড় দেশগুলো কথা বলছে নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতায়—তবে সঙ্কেত রয়েছে নতুন প্রতিযোগিতার। বিশ্বজুড়ে ফোকাস পরিবর্তন হচ্ছে—রাশিয়া-চীন অন্তত দুই শক্তি হিসেবে ধর্মীয় প্রতিযোগিতায়, আর ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ায় নিরাপত্তা সমঝোতা টেকছে ।