১৬ই জুন, ২০২৫ 🔻 ২রা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬

বেড়া পৌরসভায় মেয়র পদে ৬ প্রার্থী,বিব্রত ভোটার ও আ,লীগ

শেয়ার করুন:

Pabnamail24

ইছামতিনিউজ২৪.কম রিপোর্টঃ পাবনার বেড়া পৌরসভায় মেয়র পদে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শামসুল হক টুকুর পরিবারের ৩ সদস্যসহ মোট ৬ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিনে তারা বেড়া পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট মনোনয়ন পত্র জমা দেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, বেড়া পৌর মেয়র পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন শামসুল হক টুকু এমপির ছেলে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আসিফ শামস রঞ্জন, ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আব্দুল বাতেন এবং ভাতিজি এস এম সাদিয়া আলম। এছাড়া মেয়র পদে আরো মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এ এইচ এম ফজলুর রহমান মাসুদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডা. আব্দুল আওয়াল ও স্থানীয় আ.লীগ নেতা কেএম আব্দুল্লাহ। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, নৌকার দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় সমালোচনা ঝড় বইছে। এতে সাধারণ ভোটার, দলীয়কর্মী আওয়ামীলীগ নেতারা বিব্রতবোধ করছে।

সাংসদ শামসুল হক টুকুর ছোটভাই বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের অব্যহতি প্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আব্দুল বাতেন বলেন, দলের কিছু ষড়যন্ত্রকারী আমাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করার চেষ্টা করছে। আমি বেড়া পৌরসভায় গত ১৭ বছর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছি। মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলেছি। আধুনিক নগর গড়ার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতেই জনগণের দাবির মুখে প্রার্থী হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, দল মনোনীত প্রার্থী আমার ভাতিজা হলেও রাজনীতিতে নতুন, অনভিজ্ঞ তার তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমি আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে নই, জনগণের পক্ষে নির্বাচন করছি।

সাংসদ টুকুর ছেলে ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আসিফ শামস রঞ্জন বলেন, আওয়ামীলীগ সভানেত্রী যাচাই বাছাই করে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। অভিজ্ঞতা,সক্ষমতা আছে কিনা তা সময়ই বলে দেবে। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে জনগণ নৌকার প্রার্থীকেই ভোট দেবে।

সাংসদ টুকুর পরিবারের অপর প্রার্থী বড় ভাইয়ের মেয়ে সাদিয়া আলম বলেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, আমার বাবা বদিউল আলম বেড়া আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতাদের এক জন। আমি দীর্ঘদিন উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। জনগণের অনুরোধে প্রার্থী হয়েছি।
সাদিয়া আরো বলেন, পেশী শক্তি ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে বেড়ায় সামাজিক মূল্যবোধ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের পথে। শান্তির জনপদ হিসেবে বেড়া পৌরসভাকে গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য।

বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দুলাল বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্যর নিজের পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী। দলের অন্য বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে মাঠে। এটি নৌকার ভোটারদের জন্য বিভান্তিমূলক ও বিব্রতকর। আমরা সমঝোতার মাধ্যমে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে আনতে চেষ্টা করছি।