১৪ই জুলাই, ২০২৫ 🔻 ৩০শে আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৮ই মহর্‌রম, ১৪৪৭

আধুনিক যুদ্ধনীতিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের গুরুত্ব

শেয়ার করুন:

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আধুনিক সামরিক প্রযুক্তিতে একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি রকেট ইঞ্জিনের সাহায্যে প্রাথমিকভাবে আকাশে ছোড়া হয়। এরপর তা কিছুক্ষণ চলার পর গাইডেন্স বন্ধ করে নিজস্ব গতিতে গ্র্যাভিটি বা পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তির সাহায্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবিন্দুতে আঘাত করে ।

কার্যপ্রক্রিয়া – তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপঃ

  1. বুস্ট ফেজ: ক্ষেপণাস্ত্রের রকেট ইঞ্জিন গুঁড়িয়ে ছোড়া হয়। এই আলোচনায় উপযোগিতা নির্ধারিত ট্রাজেক্টরিতে দ্রুত গতি অর্জিন হয়।
  2. মিড-কর্স ফেজ: ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার পর—স্বল্পাকাশে—বিকাশিত গতিবেগ বজায় রেখে এটি দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে।
  3. টার্মিনাল ফেজ: পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে পুনঃপ্রবেশ করে লক্ষ্যের দিকে ছুটে গিয়ে চরম উচ্চগতিতে ধ্বংসাত্মক আঘাত হানে।

লক্ষ্য নির্ধারণ ও আঘাতের নির্ভুলতাঃ

ক্ষেপণাস্ত্রের নির্দেশনা সিস্টেম, বিশেষ করে প্রথম ধাপে গতি, কোণ ও পথ নির্ভুলভাবে দেওয়া হয়। একবার বুস্ট ফেজে নির্দিষ্ট ট্র্যাজেক্টরিতে পৌঁছে গেলে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় তা নির্দিষ্ট গন্তব্যে ঘূর্ণায়মানভাবে নামানো হয় । কিছু ক্ষেত্রে MIRV প্রযুক্তি (Multiple Independently targetable Reentry Vehicles) ব্যবহার হয়—একাধিক ওয়ারহেড একাধিক লক্ষ্যভুক্ত করার জন্য।

প্রকারভেদ ও দৌড় সীমাঃ

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রদের বিশেষভাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় তাদের দূরত্ব অনুযায়ী—শর্ট রেঞ্জ (≤1000 কিমি), মিডিয়াম (1,000–3,000 কিমি), ইন্টারমিডিয়েট (3,000–5,500 কিমি), এবং ইন্টার-কন্টিনেন্টাল (ICBM, >5,500 কিমি) । আঘাতের পরিধি নির্ভর করে তাদের বুস্ট ওয়ারহেড প্রক্রিয়া ও কাঠামোর ওপর।

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আধুনিক প্রযুক্তির একটি অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র, যার গতি, স্থায়িত্ব, ও নির্ধারিত ট্র্যাজেক্টরি এটিকে দ্রুত লক্ষ্যভ্রুস্ত করতে সক্ষম করে তোলে। তবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে এটি বিপজ্জনক প্রতিযোগিতারও অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।