ইছামতিনিউজটুয়েন্টিফোর. কম রিপোর্টঃ পাবনার বেড়ায় বিয়ে ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে ভাতিজার হাতে চাচা হাতিম (৫৫) খুন হবার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাত নয়টার দিকে পাবনা বেড়া পৌর এলাকার ভাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামে। হাতিম সোমবার বেলা এগারোটার দিকে রাজশাহী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বলেু খবর পাওয়া গেছে।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, বেড়া পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের বাতেন প্রামানিকের ছেলে সজির এর বিয়ে ঠিক হবার পর হঠাৎ কনে পক্ষ হতে বিয়েটি না করে দেয়। এতে তার আপন চাচা হাতিমের হাত আছে বলে তার ভাতিজা সন্দেহ করে। এ নিয়ে রোববার (২২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় তারা পারিবারিক ভাবে বাড়িতেই একটি ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। এসময় বর সজিব উপস্থিত ছিল না কিন্তু তার দুই ভাই সুরুজ আলী (৩৪) সাকিল (৩২) সহ পরিরবারের অন্যন্যরা উপস্থিত ছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে সজিবের চাচাকে এ বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার দোষারোপ করেন। এ অভিযোগ তার চাচা হাতিম আলী অস্বীকার করিলে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সাকিল এবং সুরুজ দুইভাই ক্ষীপ্ত হয়ে চাচার উপর লাঠিশোঠা দিয়ে হামলা চালায়। এতে সে গুরুতর আহত হয় পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে তার অবস্থা আরও আশংকাজনক হলে ঐ রাতেই পাবনা থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সোমবার (২৩ আগষ্ট) সকাল এগারোটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুরুজ এবং সাকিলকে বেড়া মডেল থানা পুলিশ আটক করেছেন বলে জানা গেছে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরের দুই ভাই সাকিল এবং সুরুজকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
ু