৮ই নভেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২🔻 ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

শেয়ার করুন:

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গত দেড় দশকে ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি অমর্যাদার শিকার হয়েছেন। ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমিকরা আরও গরিব ও অধিকারহীন হয়েছেন।

শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) সাভারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

সাইফুল হক বলেন, গণঅভ্যুত্থান গত ১৪ মাসে শ্রমিকদের উপযুক্ত মজুরি নিশ্চিত করতে পারেনি, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি, তাদের জীবনের কষ্ট লাঘব করেনি। তিনি বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ সবচেয়ে বেশি জীবন দিলেও গত ১৪ মাসে তাদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়েছে, তাদের প্রকৃত আয় কমেছে, দারিদ্র্য বেড়েছে। অভ্যুত্থানে শ্রমজীবী মেহনতিরা সবচেয়ে বেশি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

তিনি ক্ষোভের সঙ্গে উল্লেখ করেন, বৈষম্য বিলোপের ডাক নিয়ে অভ্যুত্থান হলেও গত এক বছরে একদিকে সমাজে বৈষম্য আরও প্রকট হয়েছে, আর অন্যদিকে পুরনো দুর্বৃত্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আরও জেঁকে বসেছে। দুর্বৃত্ত মাফিয়া নিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে না পারলে রাজনৈতিক সংস্কার দিয়ে বেশি দূর এগুনো যাবে না।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে না পারলে অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে যেতে পারে। তিনি ফেব্রয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, ভোটার ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের আস্থায় নিতে সরকারের প্রতি আহ্বন জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী বলেন, শ্রমিকদের অমানবিক জীবনে রেখে দিয়ে আসলে উৎপাদনশীলতা বাড়বে না। শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে আখেরে কোনো সংস্কারও কাজে দেবে না।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরও নারীদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। তিনি অধিকার আদায়ে নারী পুরুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াই জোরদার করার ডাক দেন।

শ্রমিক নেত্রী শাহনাজ আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান আরও বক্তব্য দেন পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক যুবনেতা বাবর চৌধুরী, আবু হানিফ, শ্রমিক নেতা আবুল কাশেম, মোহাম্মদ লিটন মণ্ডল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ আবু সাঈদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দুই শহীদ বদিউজ্জামাল ও আবদুল লতিফসহ গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।



সুত্রঃ কালবেলা