১৫ই জুন, ২০২৫ 🔻 ১লা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬

ভোলায় বাস-অটোরিকশা শ্রমিকদের সংঘর্ষ, পাঁচ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট

শেয়ার করুন:

ভোলার বাংলাবাজার এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসশ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট ডাক দিয়েছে বাস–মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

রোববার (৪ মে) বিকেল পাঁচটার দিকে সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় যানজটে আটকে পড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাস শ্রমিক ইউনিয়ন এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক সমিতির অভিযোগ, ঘটনার জেরে বাস শ্রমিকরা কয়েকটি অটোরিকশা ভাঙচুর ও একটি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করেন। অন্যদিকে, বাস শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি, সিএনজিচালকেরা পাঁচটি স্থানে বাস শ্রমিকদের মারধর এবং দুটি বাস ভাঙচুর করেছেন।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, “আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চেষ্টা করছি এবং উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছি।”

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার সেতুর পূর্বদিকে জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিয়মিত যানজট তৈরি হয়। আজকের সংঘর্ষের শুরুও সেখানে ব্যাপক যানজটের কারণে।

ঘটনার পর বাস শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাস মালিক সমিতির নেতারা বৈঠকে বসে পাঁচটি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, “পরিকল্পিতভাবে সিএনজিচালকেরা আমাদের শ্রমিকদের মারধর করেছে, বাস ভাঙচুর করেছে—তাই আমরা ধর্মঘট ডেকেছি।”

অন্যদিকে, সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন বলেন, “আমরা যাত্রী পরিবহন করছিলাম, সে কারণেই বাস শ্রমিকরা আমাদের গাড়িতে ভাঙচুর করেছে এবং একটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে।”

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তৎপর রয়েছে।