১৬ই জুন, ২০২৫ 🔻 ২রা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের শাহাদাত বার্ষিকী পালন

শেয়ার করুন:

এম এ আলিম রিপন : শোককে শক্তিতে রুপান্তরের প্রত্যয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র  আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয় । কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কালোব্যাজ ধারন, আলোচনা সভা, দোয়া মহফিল এবং খাবার বিতরণ।
 এদিন  স্থানীয়  জ্যাকসন হাইটসের খাবার বাড়ী চত্বরে  যুক্তরাষ্ট্র  আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিনের  সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুবল দেবনাথের সঞ্চালনায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির  বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান,প্রধান  বক্তার বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের উপ আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ওহিদুজ্জামান লিটন, যুক্তরাষ্ট আওয়ামীলীগের অন্যতম উপদেষ্টা ডাক্তার মাহমুদুল  হাসান ও  যুক্তরাষ্ট্র  আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রতিষ্ঠাতা আহŸায়ক মহিউদ্দিন দেওয়ান। আলোচনা সভায়  যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের প্রচার সম্পাদক হাজী এনাম, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক ও নিউইয়র্ক  ষ্টেট আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি সোলায়মান আলী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের প্রথম সদস্য শাহানারা রহমান, কার্যকরী সদস্য জহির উদ্দিন,আব্দুল হামিদ, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ  আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কামাল হোসেন রাকিব, নিউইয়ার্ক মহানগর  আওয়ামীলীগের  ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুর রহমান রফিক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবু, সহ সভাপতি এম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক শিবলী সাদিক, মাহফুজুল ঘশ হায়দার, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক সফল সভাপতি এবং বর্তমান আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন জয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর এইচ মিয়া, নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামীলীগের  সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন স্বপন, সদস্য জামাল হোসেন, কোভিদ উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি হাসান জিলানী, এবাদুর রহমান, জাহিদ মিয়া, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, আনিসুজ্জামান সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আলামিন, প্রচার সম্পাদক সাইফুল আলম, দপ্তর সম্পাদক এমজি মোস্তফা, মানবাধিকার সম্পাদক বিদ্যুৎ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন হোসেন, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক উত্তম পাল, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রাসেল হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী স্বে”্ছাসেবকলীগ নেতা বাশির উদ্দিন, স্বপন বিশ্বাস,পলাশ, টুটুল, আলী আকবর, নিউইয়ার্ক মহানগর স্বে”্ছাসেবকলীগের  সভাপতি মামুন খান, নিউইয়র্ক ষ্ট্রেট আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হাদী রানা,সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন,সহ সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, সদস্য বাসেত আলী, মিলন রায়, নিউইয়র্ক ষ্ট্রেট আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য জীবন রহমান, বিপ্লব, চট্রগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক যুগ্ন আহŸায়ক নাজিম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক গণেষ কীর্তনীয়া, নিউইয়র্ক সিটি যুবলীগের সভাপতি জাহিদ খন্দকার জাহিদুল ইসলাম,যুগ্ন আহŸায়ক কামাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা  কায়সার আহমেদ,আলামিন স্বপন,তূর্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য হেলাল মিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ, সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হোসেন,সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আবির হোসেন, নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের নব নির্বাচিত সহ সভাপতি শাহরিয়ার নাজিম জয় সহ প্রবাসী স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধু এক-অবিচ্ছেদ্য। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেয়া এক শিশু তরুণ বয়স থেকেই বাঙালি জাতির স্বাধীকার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। শিক্ষা জীবন ও রাজনীতি চলে পাশাপাশি। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামে জড়িয়ে ৪৭, ৫২, ৬৯, ৭০ সহ বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুর দ্বার হতে বারবার ফিরে এসেছিলেন তিনি।  বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ট নেতৃত্ব এবং লাখো শহীদের রক্তে বিনিময় আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। আজ বঙ্গবন্ধু নেই রয়েছে তার প্রজ্ঞার স্বাক্ষর। অসা¤প্রদায়িক রাজনীতির পুরোধা পুরুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু বলেও তিনি উল্লেখ করেন।  তিনি আরো  বলেন পঁচাত্তর পরবর্তীতে জাতির জনককে হত্যার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশ ছিল তিমিরাচ্ছন্ন। দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব গ্রহণ করে অনির্বাচিত সরকার। তাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে আশ্রয়-প্রশ্রয় পায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়। এমনকি বঙ্গবন্ধু যাদের নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন তাদেরও নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ‘৭২-এর সংবিধান সংশোধন করে চার-মূলনীতি পরিবর্তন ও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালাতে সহায়তা করে। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের উপ আর্ন্তজাতিক সম্পাদক ওহিদুজ্জামান লিটন বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে যতগুলো হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ১৫ আগস্টে জাতির জনকের সপরিবারে হত্যা সব ভয়াবহতা ছাড়িয়ে গেছে। সেদিন দুগ্ধপোষ্য শিশু, অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী, প্রতিবন্ধী কেউই রেহাই পায়নি। আর হত্যাকান্ডে খুনিদের শান্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছে হয়েছে ।এমনকি খুনিরা পুরস্কৃতও হয়েছে নানাভাবে। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধুই বিশ্বের একমাত্র  রাষ্ট্রনায়ক যিনি বিদেশের কারাগারে বন্দি থাকলেও  তার নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছে। যে আখাঙ্খা নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে,মাত্র ৫ বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে সেই পথ থেকে সরে আসে দেশ। ফলে দীর্ঘ পরিক্রমায়  অর্থনৈতিক মুক্তি মেলেনি। অর্থনৈতিকভাবে দেশকে  স্বাবলম্বী করতে হলে তাঁর আদর্শের সরকারকেই রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে হবে বলে জানান তিনি।  শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও  শহীদ পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা সহ দেশ এবং জাতির উদ্দেশ্যে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বায়তুল  সালাম জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রহমত উল্লাহ। শেষে খাবার বিতরণ করা হয়।