২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

যুদ্ধবিরতিতে ভারত-পাকিস্তান: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উত্তেজনার অবসান

শেয়ার করুন:

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা প্রশমিত করে দুই দেশ একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার এক ঘোষণায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতভর দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিশ্চিত করেছেন যে, দুই দেশ একটি নিরপেক্ষ স্থানে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে এবং তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তবে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের জন্য এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এসওএএস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটের পরিচালক সুবীর সিনহা বলেন, ভারতের ‘শক্ত অবস্থান’ নীতি অনুযায়ী পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসা একটি পিছু হটার ইঙ্গিত দেয়। তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত ভারতের উগ্রপন্থি রাজনৈতিক মহলে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে।

এদিকে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ দুই দেশকেই বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে ফেলেছে। চার সপ্তাহের সামরিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যুদ্ধের মোট ব্যয় ৫০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ভারত প্রতিদিন প্রায় ১০০টি যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করছে, যার প্রতিটির গড় ব্যয় প্রায় ৮০ হাজার ডলার। ড্রোন অভিযানে প্রতিদিন প্রায় ৩০টি ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে, যার ব্যয় হচ্ছে দৈনিক ১০০ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া, প্রতিদিন ১০টি ব্রাহ্মোস এবং ১০-২০টি প্রলয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলার। উচ্চমাত্রার সামরিক প্রস্তুতি বজায় রাখতে প্রতিদিন সেনা মবিলাইজেশন, জ্বালানি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং নৌবাহিনীর তৎপরতার জন্য প্রায় ১১০ মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে।

অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করেছে যে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দেশটির পাঞ্জাবের আদমপুরে ‘বুনইয়ানুম মারসুস’ নামে একটি বৃহত্তর সামরিক অভিযান চালিয়েছে। এই অভিযানে ভারতের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—ভারত কি নিজের পায়ে কুড়াল মারল? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির এই সিদ্ধান্ত ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদক্ষেপ, তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।