অভিযুক্ত বাবু মন্ডলের স্ত্রী কুলসুম খাতুন এবং হোসেন মন্ডলের স্ত্রী পারভিন খাতুন জানান, ‘আমার স্বামীরা এ ঘটনার সাথে জড়িত নেই। তারা প্রধানদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে তারপরও তাদেরকে জুতারমালা পড়িয়ে ঘুরানো হয়েছে। লজ্জায় আমাদের স্বামীরা মুখ দেখাতে না পেরে গ্রামছাড়া হয়েছে । আমরা এই মিথ্যা অপবাদের এবং গ্রাম্য প্রধানদের শাস্তি ও বিচার চাই’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রবীণ ব্যাক্তিরা জানান, ‘ছেলে দুইটা যদি অপরাধ করেই থাকে তাদেরকে পুলিশে দেওয়া উচিৎ ছিল। লোকমান মেম্বার নিজেই তো এক সময় গরুচোর ছিল। সে তার পাশের গ্রামে অনেক আগে কমল খান নামের ব্যক্তির বাড়িতে গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা খাইছিল। সে আবার চোরের বিচার করে হাস্যকর। এঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই’।
ইউপি সদস্য লোকমান সরদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘অভিযুক্তরা দুজনে আপন ভাই। তারা গতরাতে সিধ কেটে চুরি করতে ঢুকেছিলো। এ ঘটনায় আমার বাড়িতে সালিস বসেছিল এবং প্রধান হিসেবে আমি উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর করেছিলাম। কিন্ত জরুরি কাজের জন্য আমি বাইরে চলে গিয়েছিলাম। সালিসে রায়ের সময় আমি ছিলামনা। সালিসের রায় এবং জুতারমালা পড়িয়ে ঘুরানোর বিষয়ে কিছু জানিনা’।
তবে ইউপি সদস্য সালিসে উপস্থিত থাকার কথা অস্বিকার করলেও স্থানীয়দের মুঠোফোনে অভিযুক্তদের জুতার মালা পড়ানোর সময় ইউপি সদস্যকে দেখা যায়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাইদুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে গ্রাম্য প্রধানরা এ ঘটনায় তাঁরা আইনের আশ্রয় নিতে পারতো। জুতার মালা পড়িয়ে তাদের গ্রামে ঘুরানো উচিত হয়নি।