সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে সাঁথিয়ায় যোগদানের অল্প সময়ের মধ্য সততা, দক্ষতা, কর্মঠ ও বিচক্ষণতা সর্বপরি সেবাধর্মী গুণের কারণে সাঁথিয়াবাসীর মনজয় করে নেয়।
সর্বদা হাস্যজ্জ্বল ইউএনও করোনাকালীন সময়ে সকাল হতে রাত অবধি পর্যন্ত অফিসের বাইরে প্রত্যাঞ্চলে গিয়ে অসহায় কর্মহীন ও দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করেন। তার বেশী দরদ নি¤œমধ্যবৃত্ত পরিবারের প্রতি। যারা দিনের আলোতে আত্মমর্যাদার কারণে ছবি তোলার ভয়ে সাহায্য নিতে আসেনি, তাদের তিনি তালিকা তৈরী করে রাতের অন্ধকারে বর্ণচোরা সেই মানুষের দরজায় গিয়ে ত্রাণ পৌছিয়ে দিতেন। পরোপকারী ইউএনও সন্ধ্যা হলেই তার টিম নিয়ে বের হতেন এবং রিক্সা-ভ্যানচালক, শ্রমজীবি তথা রাস্তার পাশে কুড়েঘরে বসবাসকারী গরীব-দুঃস্থ অসহায় মানুষের সহযোগিতা করতেন।
ইউএনও এস,এম জামাল আহমেদের বেশী নজর ছিল শিক্ষার প্রতি। সাঁথিয়ায় এসে তিনি ঘোষনা দিয়েছিল টাকা পয়সার অভাবে কোন শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়বে না। আর্থিক অভাব অনাটনের কারণে বাল্য বিয়ে দেবার সময় এ পর্যন্ত প্রায় তিনি শতাধিক বিয়ে বন্ধ করেছেন এবং সেই ছাত্রীরা যেন লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য সহযোগিতা করে আসায় তিনি শিক্ষানুরাগী হিসাবে প্রসিদ্ধ ও খ্যাতি লাভ করেছেন।
সম্প্রতি সাঁথিয়া ও কাশিনাথপুর বাজারে ২ জন পাগলী গর্ভবর্তী বা অন্তঃসত্ত্বা হয়। বিষয়টি ইউএনও সাহেবের নজরে আসলে তিনি ২ পাগলীকে চিকিৎসাসহ সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পিতৃপরিচয়হীন ২ নবজাতককে পৃথিবীতে নিরাপদে আসার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার সুব্যবস্থা করে তিনি মানবদরদী হিসাবে সাঁথিয়ায় নজির স্থাপন করেছেন।
প্রচন্ড শীতে যখন দেশ কাপছিল তখন ইউএনও মহোদয় সন্ধ্যা হতে রাত অবধি পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে দুঃস্থ, অসহায় ও সম্বলহীন মানুষকে শীতবস্ত বিতরণ করতেন।
ইউএনও মহোদয় সাঁথিয়ার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসাবে মাদক ও ভেজাল দ্রব্যের ব্যাপারে তার অবস্থান ছিল কঠোর ও অনড়। এ ব্যাপারে তিনি কারো কোন সুপারিশ বা অনুরোধ না রাখায় একজন সৎ ও নির্ভিক অফিসার হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন।
ইউএনও এস,এম জামাল আহমেদের সবচেয়ে বড় গুণ তিনি কাউকে কোন কিছু দিতে না পারলেও তার নিকট থেকে কেউ রাগ বা মন খারাপ করে যেতে পারতেন না। বাধ্যবাধকতার কারণে সেবা দিতে না পারলেও এমনভাবে হাস্যজ্জল মুখ নিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে দিতেন, সেবা গ্রহিতা কিছু না পেলেও হাসিমাখা মুখ নিয়ে বিদায় হতেন। এসব গুণাবলীর কারণে তিনি সাঁথিয়ার জনসাধারণের মনের গহীনে স্থান করে নিতে পেরেছেন।
সাঁথিয়াবাসীর মনজয় ও করোনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম জামাল আহমেদ বলেন, সাঁথিয়াবাসীর অফুরন্ত ভালোবাসা, সহযোগিতা ও প্রেরণার কারণে আমার এক কাজগুলো করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার করোনা পজেটিভ হয়েছে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আপনাদের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারি।