১৫ই জুন, ২০২৫ 🔻 ১লা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬

সাঁথিয়ায় ধান ক্ষেতে কোমর পানি, শ্রমিকের সংকট

শেয়ার করুন:

সাঁথিয়া(পাবনা) সংবাদদাতা: ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে ব্যাপক বৃষ্টিতে পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলার উঠতি ফসল বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছে কৃষক। বৃষ্টিতে উপজেলা কয়েকটি বিল ও মাঠের হাজার হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান জমিতে তলিয়ে যেতে বসেছে। কৃষকের ধানের জমিতে হাঁটু অথবা কোমর পানি হয়ে পড়েছে। কারো কারো জমির ধান হালকা বাতাস ও বৃষ্টিতে পানিতে পড়ে গেছে। অন্য জমির ধানের কেবল শীষ পানির উপরে রয়েছে। এ যেন মাথা উঁচু করে বাঁচার চেষ্টা করছে। পাকা ও আধা পাকা এমন ধান নিয়ে বিড়ম্ভনায় পড়েছে কৃষক কুল। মপপতে নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকটের। পানিতে ধান কাটতে কৃষকরা শ্রমিক সংকটে ভুকছে। একজন শ্রমিকের মূল্য ৭ শত থেকে ৮শত টাকা। এলাকা ও জমির ধরণে তা কোথাও আরও বেশি। বাজারে এক মন ধান বিক্রয় হচ্ছে ৮শত থেকে ৯শত টাকায়। সেখানে একজন শ্রমিকের মুজুরি ৮ শত টাকা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কৃষকরা।

সরে জমিন উপজেলার বিষ্ণুবাড়িয়া মাঠে ও ঘুঘুদহ বিলে গেলে দেখা যায়, ধানের জমিতে হাঁটু ও কোমর পানিতে অনেকেই শ্রমিক দিয়ে ধান কাটছে। পানিতে ধান কাটা কষ্টা দায়ক হচ্ছে বলে তারা জানান।
উপজেলার আত্রাইশুকা গ্রামের কৃষক বাবলু, চাঁন মিয়া জানান, জমিতে বৃষ্টির পানি বেশি হওয়ায় ধান কাটা বন্ধ রেখেছি। একমন ধানের দামের সমান একজন শ্রমিকের মজুরি হওয়ায় হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছি।একই গ্রামের বাবলু জানান, শ্রমিকের ধান বেশি হওয়ায় আমি নিজেই ধান কাটা শুরু করেছি। উপজেলার কল্যানপুর গ্রামের কৃষক মধু জানান, ঘুঘুদহ বিলে বোরো ধান রোপন করেছিলাম। বৃষ্টির পানিতে অধিকাংশ ধানের জমিতে হাঁটু পানি। কিছু জমির ধান পানির নিচে রয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জীত কুমার জানান,উপজেলায় ৫ হাজার ৪ শত হেক্টও জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ইতো মধ্যে ১০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। বাঁকী ধান দ্রৃত কাটার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি।
এছাড়াও মাঠের পানি নিশ্কাশনের জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।