১৫ই জুন, ২০২৫ 🔻 ১লা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬

সাঁথিয়ায় নৌকায় আগুন, পৃথক সংঘর্ষে আহত-২৫

শেয়ার করুন:

সাঁথিয়া (পাবনা) সংবাদদাতাঃ  তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থার সমর্থকদের সাথে নৌকা দলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘাত বেড়েই চলছে। সংঘাত এড়াতে আইনশৃংখলা সভা করে যাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন।

মঙ্গলবার দিন গত গভীর রাতে উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়নের বাটু সোনাতলায় নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ঝুলিয়ে রাখা নৌকায় আগুন দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। এঘটনায় নৌকার প্রার্থী হারুন অর রশিদের অভিযোগের তীর প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজ জানান, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নৌকা পুড়ানোর নাটক সাজানো হয়েছে। এর আগে সোমবার সন্ধ্যার পর ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রর্থী (আনারস) হাফিজুর রহমান হাফিজের নির্বাচনী অফিসে হামলার অভিযোগ করেন আনারসের প্রার্থী। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। ভাংচুর করা হয় আনারসের নির্বাচনী অফিস, দোকান পাটসহ বাড়ি ঘরে। পরে উভয় পক্ষ থানায় মামলা করলে ৬জনকে আটক করে পুলিশ।

 ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন নির্বাচকে কেন্দ্র করে নৌকার অফিসে হামলা মারপিটের অভিযোগ করেছেন নৌকা মার্কা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুনসুর আলম পিনচু। এদিকে নৌকার প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার মাইকের তার ছিড়ে ফেলা ও মারপিটের অভিযোগ করেছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ইউনিয়নের খালইভরা ¯øুইজগেটের সামনে নৌকা প্রতিকের অফিসে মারপিটের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও নৌকার সমর্থক নজরুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২ টার দিকে সাবেক চেয়ারম্যান, সদ্য বহিস্কৃত ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর নিজে তার ৮/১০জন সমর্থকদের সাথে করে নৌকার অফিসে আসেন। তিনি এসময় তার সমর্থকদের নৌকার প্রচার মাইকের তার ছিড়ে ফেলতে নির্দেশ দেন। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতা হাতির ঘটনা ঘটে এতে নৌকার সমর্থক সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন হোসেন (২৫), রবিউল ইসলাম(২৫) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর  (ঘোড়া প্রতিক) সমর্থক রফিকুল ইসলাম (৪৭) আহত হয়। তাদের সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকার অফিসের চেয়ার, টেবিল ভাংচুর ও পোস্টার ছিড়ে ফেলে।
এছাড়াও সোমবার সন্ধ্যায় ধোপাদহ ইউনিয়নের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সাইদুজ্জামান বাবলুর সমর্থকদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু সাইদ বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আবু সাইদ নিজে ও নৌকার দুই সমর্থক আহত হয়। নির্বাচনের দিন যতই ঘুনিয়ে আসছে ততই উপজেলা ব্যাপী সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে বলে সাধরণা ভোটারদের। এতে সাধারণ ভোটাররা আতংকে রয়েছে।
অপর দিকে নির্বাচনে সকল প্রকার সংঘাত এড়াতে পুলিশ প্রশাসন ইউনিয়ন ভিত্তিক আইনশৃংখলা সভা করে যাচ্ছেন থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্ষেতুপাড়ায় এক আইন শৃংখলা সভায় পাবনার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) রবিউল ইসলাম নির্বচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। আচারণবিধি লঘ্ঙন করে সংঘর্ষে জড়ালে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিফ মোহামাদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। নৌকা পুড়ানোর বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। থানায় এ পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙঘন হলে রিটানিং অফিসার বিষয়টি দেখবে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের রিটানিং অফিসার মোজাম্মেল হক জানান, এ ক্ষেতুপাড়ার বিষয়ে আমি কোন অভিযোগ পায়নি। নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তারা কাজ করছে।