দু’টি শ্যালোমেশিন চালিয়ে পানি সেচ দিয়ে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া মিয়াপাড়া গ্রামের মাঝ দিয়ে ক্যানেলে তিন গ্রামের কয়েক’শ বিঘা জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য ইছামতি নদীতে আউলেট (পানি নিস্কাশন কালভার্ট) স্থাপন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।নাম মাত্র মাটি ভরাট করে জানুয়ারী মাসে ঠিকাদার কাজ শেষ করে ডাইকে । আউটলেটের মধ্যে (কালভার্টে) পানি নিস্কাশনের জন্য শক্ত লোহার পাল্লা না দিয়ে টিনের পাল্লা দিয়ে কাজ শেষ করেন। ইরিগেশনের সময় পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান সেচ খাল ইছামতি নদীতে পানি দিলে ওই ক্যানেল দিয়ে পানি কৃষকের মাঠে প্রবেশ করে পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে ঢুকে পড়ছে। ফসল রক্ষায় এলাকাবাসী ওই আউটলেট বাঁশ তালাই দিয়ে বাধ নির্মান করে পানি বন্ধ করছে। সেই সাথে দু’টি শ্যালোমেশিন চালিয়ে পানি সেচ দিয়ে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন।
সোমবার সরেজমিনে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম সাইদ, আঃ মান্নান, জবেদ, রশিদ, এরশাদসহ অনেকে জানান, এই ক্যানেল দিয়ে ইছমতি নদীর পানি প্রবাহিতর কারণে রবি মৌসুমের অনেক ফসল নষ্ট হয়। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)কে জানালে তারা এ বছর ওই স্থানে পানি নিস্কাশনের আউটলেট স্থাপন করে। শুরুতেই ঠিকাদার নিম্নমানের ইট ও নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা তাতে বাধা দেয়। ঠিকাদার লোহার পাল্লার পরিবর্তে টিনের পাল্লা দিয়ে কাজ শেষ করেন। এতে ফসল রক্ষায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে এলাকার শত শত কৃষক।
ঠিকাদারকে একাধিক নাম্বার দিয়ে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে বেড়া পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশ কুমার সরকারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।