২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

সাঁথিয়ায় বিয়ের দাবিতে দেবরের ঘরে ভাবীর অনশন

শেয়ার করুন:

 
সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ায় দেবরের সাথে বিয়ের দাবিতে তার ঘরে আমরণ অনশন করছেন   গৃহবধু সম্পা আক্তার(৩৫)। সে আফড়া গ্রামের হেলালের স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (২৬ শে জানুয়ারি) সন্ধ্যা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আফড়া গ্রামে। প্রেমিক দেবর ইব্রাহিম মৃত্য মোকারম শেখের ছোট ছেলে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়,দুই সন্তানের জননী সম্পা আক্তারের স্বামী হেলাল পেশায় একজন  ট্রাক  ড্রাইভার। সে দীর্ঘদিন বাড়িতে না থাকার সুযোগে সহোদর ছোট ভাই ইব্রাহিম ভাবীর সাথে পরকীয়া করে। এক পর্যায়ে ভাবীকে বিয়ে করবে বলে আশ^াস দিয়ে অবাধে মেলামেশা করে আসছে। প্রেমিক দেবর ইব্রাহিম অন্যত্র বিয়ে করতে গেলে তার ঘরে বুধবার (২৬ শে জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে আমরণ  অনশন শুরু করে। সম্পার দাবী, বিয়ের পর থেকেই দেবরের সঙ্গে ১৫ বছর ধরে পরকিয়া করছেন ।
 গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি)  ইব্রাহিমের পরিবার অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক করে। ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার ইব্রাহিমের বিয়ের দিন ধার্য হয়। এ খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে দেররের ঘরে ২৬ শে জানুয়ারি অনশনে বসেন ভাবি সম্পা আক্তার। এর পর প্রেমিক দেবর ইব্রাহিম বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
 অনশনরত সম্পা আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকেই দেবর ইব্রাহিমের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক করে ওঠে। আমি বিয়ের কথা বললে নানান বাহানা দেখিয়ে অনেক বছর পাশ কাটিয়ে যায় ইব্রাহিম। দু,বছর আগে স্বামীর সাথে ঝামেলা করে বাবার বাড়ি চলে গেলে ইব্রাহিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফিরে আসতে বলে আমাকে। গত সোমবারে আমাকে শাহজাদপুুর মসজিদে গিয়ে কুরআন শরীফ মাথায় নিয়ে শপথ করছে দু-চারদিনের মধ্যে অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে আমাকে বিয়ে করবে। এখন বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রেখে গোপনে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেছে। বিয়ে না করলে দেবরের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করবে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে প্রেমিক দেবর ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ভাবি আমার বিয়ের কথা শুনে ষড়যন্ত্র করে আমার বিয়ে ভেঙে দেয়ার চেষ্টা করছে। এর আগেও আমার দুই তিনটা বিয়ে ভেঙে দিয়েছে।

এ বিষয়ে করমজা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হোসেন আলী বাগচি জানান,আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ  অভিযোগ করেনি।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া। ##