১৭ই জুন, ২০২৫ 🔻 ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬

সাঁথিয়ায় মা ও শিশু কেন্দ্র চালু হলে উন্নত সেবা পাবে গ্রামের মানুষ

শেয়ার করুন:

সাঁথিয়া(প্বানা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়ার গ্রামাঞ্চলের মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কেন্দ্র নির্মানের উদ্যোগ নেন। যা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষে গত বছরের শেষের দিকে সোনাতলা ও চলতি বছরের মে মাসে কাশিনাথপুরের মা ও শিশু কেন্দ্রটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বদরুল ইকবল লিমিটেড। উপজেলার কুমিরগাড়ীর কেন্দ্রটি জলাবদ্ধতার কারণে নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। তিনটি কেন্দ্র চালু হলে গ্রামাঞ্চলের মা ও শিশুরা এ কেন্দ্র থেকে কম খরচে স্বাস্থ্য সেবা পাবেন। 

 জানাগেছে, প্রতিটি মা ও শিশু কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ২ জন মেডিকেল অফিসার, ৩ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ১জন ফ্যার্মাসিস্ট, ১জন কম্পিউটার ম্যান, ১জন আয়াসহ ১৪জন জনবল থাকবে। এখানে নরমাল ও অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হবে। এছাড়াও শিশু ও মায়েরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাবে এ কেন্দ্রের মাধ্যমে। উপজেলার সোনাতলা গ্রামের ফরিদা খাতুন জানান, সন্তান প্রসবসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আমাদেও সাঁথিয়া ও পাবনা সদরে যেতে হয়। এ কেন্দ্রটি চালু হলে আমরা হাতের নাগালে স্বাস্থ্য সেবা পাবো।
কেন্দ্র দুটি চালু না হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের দারিদ্র অসহায় পরিবারের মায়েরা সঠিক ও অল্প খরচে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেবা গ্রহণ করতে তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। এতে করে তাদের বেশি করে আর্থিক খরচ গুনতে হচ্ছে। তাছাড়াও ভুল চিকিৎসায় অনেক মা ও শিশু অকালে মৃত্যু বরন করছে।
কাশিনাথপুর মা ও শিশু কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় ইতো মধ্যে জানালার গ্রিল কেটে কিছু মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। এছাড়াও রক্ষণা বেক্ষনের অভাবে নষ্ট হতে পারে কেন্দ্রের মূল্যবান আসবাবপত্রসহ দামি জিনিসপত্র।
এদিকে ২০১৯ সালে নির্মান কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ওই সময়ের স্বস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মিঠুল জানান, স্থানীয় এমপি এ্যাড: শামসুল হক টুকু এবং ওই সময়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের (স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব(উন্নয়ন) বাবলু কুমার সাহার চেষ্টায় মা ও শিশু কেন্দ্রগুলো নির্মান হয়। যা পল্লী অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক ভুমিকা রাখবে। সাধারণ মানুষের দাবি শামসুল হক টুকু এমপি এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মানে প্রশংসিত হয়েছে। এখন আমরা শুধু সেবার অপেক্ষায় রয়েছি।
পাবনা স্বাস্থ্য প্রকৌশলের সহকারী প্রকৌশলী শামসুল আরিফিন জানান, নির্মান কাজ শেষে আমরা সাঁথিয়ার দুটি কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট হস্তান্তর করেছি।
পাবনার পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক শামসুল আলম জানান, করোনায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে জনবলের অভাবে এখনও মা ও শিশু কেন্দ্র চালু করা সম্ভব হয়নি।