১৫ই জুন, ২০২৫ 🔻 ১লা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ১৮ই জিলহজ, ১৪৪৬

সাঁথিয়ায় সালিশি বৈঠাকে চিকিৎসকের ২ লক্ষ টাকা জরিমানা

শেয়ার করুন:

  সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃপাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের এক গৃহবধুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ায় সালিশি বৈঠাকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা দিলেন চিকিৎসক। ঘটনাটি জানাযানি হওয়ায় গৃহবধুর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে শশুর বাড়ির লোকজন।

সালিশি বৈঠের একাধিক ব্যক্তি ও এলাকা সূত্রে জানাযায়, ওই গৃহবধুর স্বামী বিদেশ থাকায় দীর্ঘ তিন বছর যার্বত প্রেমের স¤র্পক গড়ে উঠে উপজেলার যশোমন্ত দুলিয়া গ্রামের আলাইয়ের ছেলে ও ডি.এম.এফ চিকিৎসক শহিদুল্লাহ কায়সারের সাথে।

গত ১৫ আগস্ট সকালে প্রবাসীর স্ত্রী সুজানগরের চিনাখড়া বাজারে শহিদুল্লাহ চেম্বারের উপস্থিত হয়ে বিয়ের দাবি জানান। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকী দিলে লোকজন দুইজনকে ওই রতই ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচুর বাড়িতে সালিশি বৈঠাকে বাসান। গভীর রাতে ওই সালিশি বৈঠাকে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু, ইউনিয়ন আ,লীগ নেতা আ:মান্নন, মজিবর রহমান, লিটন মোল্লা, ওয়াজেদ, ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আয়নাল হকসহ অনেকেই।

সালিশী বোর্ডে শহিদুল্লাহ কায়সারকে প্রেমের সর্ম্পক্য স্থাপনের জন্য ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। বিষয়টি জানাযানি হলে মেয়েটির শশুড়বাড়ির লোকজন তার (পুত্রবধুর)ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। গৃহবধুর বাবা জানান, আমার মেয়ের পিছনে অনেক দিন আগে থেকে সে লেগেছিল। চেয়ারম্যান সাহেব রবিবার রাতে সালিসে মেয়েকে মারপিট করেছে। সে এখন অসুস্থ। সালিসি বোর্ড সূত্রে আরও জানা যায় ২০১৯ সালে এ মেয়ে ও শহিদুল্লাহকে একসাথে আটক করে এলাকাবাসী। সেই সময়ও ছেলের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

সালিশি বৈঠাকে থাকা ইউপি সদস্য আয়নাল হক, মজিবর রহমান জানান, সালিশে ২ লক্ষ টাকা ছেলের জরিমানা করা হয়েছে। মেয়েকে তার বাবার কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে চিকিৎসক শহিদুল্লাহ কায়সারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি ব্যস্ত রয়েছি। আপনাদের (সাংবাদিকদের) সাথে কথা বলার সময় নেই।
ইউপি চেয়ারম্যান মুনসুর আলম পিনচু জানান, রাত ১২টার পরে সালিশি বৈঠকে ছেলেকে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। প্রথমে জরিমানা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের মোটর বাইক আটকিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা ওসি(তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, গভীর রাতে সালিশি বৈঠাকের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।