গত ২৯ নভেম্বর এক চিঠিতে দালান ভাঙ্গা ও গাছ কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জন পাবনা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে চিঠি দেন ক্ষেতুপাড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা। এছাড়াও পাবনা জেলা জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন হাসপাতালের নামে জমি দান করা বাছের প্রামানিকের নাতি বাবু প্রামানিক। যার নং ১৯৮/২১ইং। তার দাবি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গৃহ নির্মান করেন উপজেলা প্রশাসন। তবে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, আদালতের কোন নোটিশ আমি আগে পাইনি। গৃহ নির্মানের শেষ মুহুর্তে ওই নোটিশটি পেয়েছি। এর আগে কেউ এ বিষয়ে কোন অভিযোগও করেনি।
জানাযায়, এলাকার জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সি এস(ডিএস-১৪০) খতিয়ানের মালিক বাছের প্রামানিক বিট্রিশ আমলে(১৯২৬ সালে) উক্ত স্থানে একটি হাসপাতাল নির্মান করেন। যা পরবর্তিতে সরকারি করণ হলে এসএ আমলে জেলা বোর্ডের বরাবর হাসপাতালের নামে বাছের প্রাং নিজস্ব ২ একর তিন শতক জমি রেকর্ড করে দেন। আরএস জরিপ কালিন সময়ে ভ’লক্রমে জেলা প্রশাসক পাবনার নামে জমিটি ১নং খতিয়ানে রেকর্ড হয়।
পাবনা সিভিল সার্জন ডা: মনিসর চৌধুরী জানান, গৃহ নির্মান করা জমি হাসপাতালের কি না সে বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করতে এসেছি। রফিকুল নামক এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কাগজপত্র ও তথ্য সংগ্রহ করছি। তদন্ত প্রতিবেদন আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো।
সাঁথিয়া উপজেলা প.প কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী জানান, আমি সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন স্থানে জমি রক্ষায় চিঠি দিয়েছি। যেখানে গৃহ নির্মান করা হচ্ছে সেখানে হাসপাতালের পুরাতন ভবন ও গাছ ছিল।