১৭ই জুন, ২০২৫ 🔻 ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬

সাঁথিয়ায় ৫৩ বছর ইমামতি করা ইমামের রাজকীয় বিদায়

শেয়ার করুন:

বর-কনের বিয়ে নয়, নায়ক-নায়েকার ছবির বা নাটকের সুটিং নং, পুলিশ সুপার বা মন্ত্রী- প্রধান মন্ত্রীর বিদায় অনুষ্ঠান নয়। পাবনার সাঁথিয়ায় জাঁক জমকপূর্ণ ভাবে রাজকীয় বিদায় দিলেন মসজিদের পেশ ইমামকে। দীর্ঘ ৫৩ বছর ইমামতি করার পর পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার যশোমন্তদুলিয়া গ্রামের পুরাতন কেন্দ্রীয় মসজিদের প্রিয় ইমাম ও খতিব হাফেজ আবু মুসাকে গ্রামের যুবসমাজের উদ্যোগে জমকালো বিদায় দেয়া হয়। বুধবার দুপুরে শতাধিক মোটরসাইকেল, সিএনজি এবং ঘোড়ার গাড়িতে করে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আনন্দঘন শোভাযাত্রায় বিদায় দেওয়া হয়েছে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু মুসাকে। বিদায় বেলায় মসজিদের ইমামকে সম্মানিত করার এমন উদ্যোগের কারণে প্রশংসায় ভাসছেন এলাকার যুবসমাজ। ইমামকে বিদায় বেলায় ক্রেস্ট, বিভিন্ন উপহার ও নগদ ১ লক্ষ টাকা দেন গ্রামবাসী।
এলাকার যুবসমাজের পক্ষে থেকে সুজন বিশ্বাস, সজীব শেখ ও মামুন বিশ্বাস জানান, সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামের হাফেজ আবু মুসা যশমন্তদুলিয়া গ্রামের মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দীর্ঘ ৫৩ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এই ৫৩ বছরের মধ্যে তিনি গ্রামবাসীদের আত্মার সঙ্গে মিশে গেছেন। এখন তিনি বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। বার্ধক্য জনিত কারণে বুধবার ৪ মে তাকে বিদায় দেয়া হয়। বিদায় অনুষ্ঠানে ইমাম মুসাকে দেওয়া হয় ক্রেস্টসহ নানা উপহার। পরে তাকে ঘোড়ার গাড়ির বহরে কওে ও মোটর শোভাযাত্রায় চোখের পানিতে বিদায় জানানো হয়।

 পরে শতাধিক মোটরসাইকেল, সিএনজিসহ ঘোড়ার গাড়িতে করে তার তাঁতীবন্ধ গ্রামের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে আসেন।এ সময় সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। মসজিদের ইমাম কাম-খতিবের এমন রাজকীয় বিদায়ের ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী বলেন, আবু মুসা দীর্ঘ ৫৩ বছর তাদের মসজিদে ইমামতি ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। গ্রামবাসী তার পরামর্শ নিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত কাজ করতেন। তিনি ছিলেন গ্রামবাসীর অভিভাবক। তাই তাকে বিদায় বেলায় এভাবে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি। মসজিদের খতিব হাফেজ আবু মুসা বিদায় বেলায় এমন রাজকীয় সম্মান পেয়ে খুশিতে আবেগøুভুত হয়ে পড়ে।